আজ : শুক্রবার, ৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উজানচর ২ নং ইউপি সদস্য আবুলের বিরুদ্ধে ভাতা কার্ডের অনিয়মের অভিযোগে।


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ ,২৪ আগস্ট, ২০২১ | আপডেট: ১:১৬ পূর্বাহ্ণ ,২৫ আগস্ট, ২০২১
উজানচর ২ নং ইউপি সদস্য আবুলের বিরুদ্ধে ভাতা কার্ডের অনিয়মের অভিযোগে।

স্টাফ রিপোটার।। বয়স না হলেও বয়স্ক ভাতা কার্ড করে দিয়ে উপটোকন নেওয়া,প্রতিবন্ধী কার্ড করে প্রথম কিস্তির ৮ হাজার ৪ শত টাকার মধ্য থেকে কার্ড হোল্ডারকে ১৮ শত টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ,বিধবা ভাতার কার্ড করে দিয়ে ২ টা দেশি মোরগ নেওয়া সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে উঠেছে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ২ নং ইউপি সদস্য আবুলের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গত সোমবার ২৩ শে আগস্ট-২১ তারিখে অনুসন্ধান কালে এর সত্যতা পাওয়া যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন মেম্বারের অনিয়মের শেষ নেই।মেম্বারকে এর আগেও গোয়ালন্দের সাবেক ইউ,এন,ও মহোদয় সোকেজ করেন। তিনি করোনা ভাইরাসের লকডাউনে সময় ৫ শতাধিক লোক নিয়ে মিলাদ দেওয়ায় তাঁকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেন।তার নানা অনিয়মের কারণে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।কোরনা কালিন সময়ে ত্রানসামগ্রী অনেকে পাইনি বলেও অভিযোগ করেন।
স্থানীয় মৃত সেকেন খাঁর স্ত্রী রেজিয়া বেগম বলেন,আমার বিধবা ভাতা কার্ড করার পর গত ৫ মাস আগে তা নিয়ে যায় এখন তরি কার্ড দেয় নাই।কার্ড করার সময় মেম্বার দেশী মোরগ খাইতে চাইলে ২ টা মোরগ কিনে দেই।
উজানচরের ২ নং ওয়ার্ডের মাইনুদ্দিনের স্ত্রী প্রতিবন্ধী মাজেদা বেগম বলেন,আমার প্রতিবন্ধী কার্ড করার পর ব্যাংকে টাকা উঠাতে যাই।ম্যানেজার আমার হাতে প্রথম ধাপের ৮ হাজার ৪ শত টাকা দেওয়ার পর মেম্বার আমার হাতের থেকে টাকা নিয় আমাকে ১৮ শো টাকা দেয়।বাকি টাকার বিষয়ে যানতে চাইলে তিনি বলেন বাকিটা কার্ডের খরচ।যার কার্ড নং উশা-১৮৯(২)।
খোয়াজ মন্ডলের পরিবার জানায়,মাসে ৩০ কেজি চাউলের কার্ড করতে চাইলে ৫ হাজার টাকা চায় মেম্বার। আমরা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে কার্ড করে দেয় নাই।একই এলাকার ভুক্তভোগী সাহেদা জানান,আমার বিধবা ভাতা কার্ড করে দিয়ে পুনরায় কার্ড নিয়ে যায়।আর দেয় নাই মেম্বার।
একটি সুত্র দাবী করেন সঠিক তদন্ত হলে বেড়িয়ে আসতে পারে থলের বিরাল।
এ বিষয়ে ২ নং ইউপি সদস্য আবুল মেম্বার সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান।তিনি বলেন, আমি এ ধরনের কাজ করি না।আমার সম্মান হানির জন্য মিথা বলছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  আজিজুল হক জানান,অভিযোগ তদন্তের প্রেক্ষিতে দৃষ্টান্তমূলক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

comments