আজ : শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক বেড়িবাঁধের গাছ কেটে বিক্রি; জানে না প্রশাসন!


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ ,২৭ এপ্রিল, ২০২১ | আপডেট: ২:১০ পূর্বাহ্ণ ,২৮ এপ্রিল, ২০২১
মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক বেড়িবাঁধের গাছ কেটে বিক্রি; জানে না প্রশাসন!

বিধান কুমার।।  শুধু দুর্নীতিতেই নয়, ক্ষমতা আর পেশীশক্তির দাপটে এবার বেড়িবাধেঁর সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ও সত্যতা পাওয়া গেছে- রাজবাড়ী জেলা সদরের ১নং মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে। তবে, গাছ কাটার ব্যাপারে পত্রিকায় যাতে কোনো রিপোর্ট না হয় সেজন্য তিনি সাংবাদিককে চা-নাস্তা খরচ নেওয়ার জন্য অফারও করলেন চেয়ারম্যান সাব।

চেয়ারম্যানের জমির আশেপাশে কোন গাছ থাকলে প্রথমেই গাছের ডালপালা কেটে ন্যাড়া করে ও পরবর্তীতে ব্যাপারীর কাছে গাছ বিক্রি করে দেন তিনি।

চরনারায়নপুর সুইচগেট হতে ধাওয়াপাড়া গামী মহাদেবপুর বটতলার পাশে চেয়ারম্যানের জমির সাথে বেড়িবাধেঁর কড়ই গাছগুলো একের পর এক কেটে বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত প্রায় লক্ষাধিক টাকা। বেড়িবাধেঁর গাছগুলো দির্ঘদিন ধরে এভাবে নিধন করে চললেও যেন দেখার কেউ নেই।

২১ শে এপ্রিল-২১ গত বুধবার দুপুর ১.টা ১৭ মিনিটে মহাদেবপুর বটতলার পাশে চেয়ারম্যানের জমির অভিমুখী বেড়িবাঁধের ঢালে রোপণ করা সামাজিক বনায়নের গাছ কাটার তথ্য প্রাপ্ত হয়ে সংবাদ সংগ্রহে সরোজমিনে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের ছেলে মুন্নাফ উপস্থিত থেকে লেবার দিয়ে গাছ কাটাচ্ছেন। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে ততক্ষনাৎ সটকে পরে মুন্নাফ।

একই জমির সামনে হতে পূর্বেও বেশ কয়েকটি বড় বড় রেন্টি কড়ই গাছ কতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই ৩০-৩৫ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, শুধু এ গাছই নয় মহাদেবপুর বটতলার পাশে চেয়ারম্যানের জমি সংলগ্ন বেরিবাদের রাস্তার রেন্ডি কড়ই গাছ গত কয়েক বছরে ৪-৫ টি বড় বড় গাছ কেটে নিয়েছে। বছর বছরই এক এক টি করে গাছ কাটেন চেয়ারম্যান। একেকটি গাছ ৩০-৩৫ হাজার করে বিক্রি করেছেন চেয়ারম্যান আতিয়ার।

সরোজমিনে উপস্থিত থেকে মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমানের ছেলে মুন্নার ফোনে কল করে সরকারী গাছ কাটর বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি এ প্রতিবেদককে উপঢৌকন দেবার অফার করেন।

গত ২১ শে এপ্রিল-২১ বুধবার দুপুর ১.২০ মিনিটে মুটোফনে বেরিবাধের গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন, গাছের ডালপালা মরে যাওয়ার কারণে ও জমি থেকে বের হওয়ার পথ বের করার জন্য আমার ছেলে গাছ কাটছে। কোথাও থেকে কোনো অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হচ্ছে কিনা প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, এই সামান্য গাছ কাটার জন্য কোথাও থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। তবে পত্রিকায় যাতে কোনো রিপোর্ট না হয় সেজন্য তিনি এ রিপোর্টারকে চা নাস্তা করার জন্য উপঢৌকনের অফার করেন।

এ বিষয়ে, রাজবাড়ী বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান- উক্ত স্থান বন বিভাগের জায়গার মধ্যে না। তাই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথাও তিনি বলেন।

এ ব্যাপারে, অবগত করার জন্য রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফহমি মোঃ সায়েফকে মুঠোফনে কল করলে তিনি, অন্য একটি প্রসঙ্গে কথা বলায় এ বিষয়ে আর বলা হয়নি, যার দরুন গাছ কর্তন প্রসঙ্গে তাকে আগামীকাল অবগত করা হবে।

Comments

comments