জমি বিক্রির বায়নার টাকা নিয়ে টালবাহানা করায় সুলতানপুরের বাবলুর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণার মামলা
প্রকাশিত: ৩:২৪ অপরাহ্ণ ,২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | আপডেট: ১:৩৯ পূর্বাহ্ণ ,২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
মোঃ আলমাস আলী॥ সম্পত্তি ক্রয়ের বায়না চুক্তি করে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছে এক অসহায় পরিবার। বায়না শর্তের ৩,০০,০০০/= (তিন লাখ) টাকার মধ্যে ২,৫০,০০০/= (দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার) টাকা গ্রহণ করেও চুক্তি গ্রহীতাকে নির্ধারিত সময়ে জমি রেজিস্ট্রি না দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি বায়না গ্রহীতার কাছ থেকে নেয়া ২,৫০,০০০/= (দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার) টাকা আত্মসাৎ করতে প্রতারক চক্রটি একের পর এক চক্রান্তে লিপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীনসহ প্রতারক চক্রের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে আটকে অসহায় পরিবারটি চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
এ প্রতারক চক্রের হোতা রাজবাড়ী সদর সুলতানপুর ইউনিয়ন, ধর্মশী গ্রামের এক সময়ের আলোচিত জমির আইল ঠেলা বাবলু মোল্যা। জমির বায়না চুক্তির গ্রহীতাদেরকে মিথ্যা মামলাসহ মিথ্যা তথ্য দিয়ে নামকায়েস্তা পত্রিকায় সংবাদ ছাপিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে চলছেন।
মামলার বিবারনে প্রকাশ, রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের ধর্মশী গ্রামের মৃত নাছের মোল্যার ছেলে বিল্লাল মোল্যা, হেলাল মোল্যা, ও মৃত লাভলু মোল্যার ছেলে সুমন মোল্যা একই বাড়ীতে পৃথক ঘরে বসবাসরত মোঃ বাবলু মোল্যার কাছ থেকে বসতবাড়ীর সংলগ্ন ১৫(পনরো) শতাংশ সম্পত্তি ক্রয়ের চুক্তিপত্র সম্পন্ন হয়। ১৩/০৬/২০ইং তারিখ লিখিত মীমাংসা পত্র মোতাবেক সম্পত্তির বাজার মূল্যের ৩,০০,০০০/= (তিন লাখ) টাকার মধ্যে ২,৫০,০০০/= (দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার) টাকা গ্রহন করেন বাবলু মোল্যা। এক পর্যায়ে বায়না গ্রহীতা কবলা দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করার তাগিদ দিলে বায়নাদাতা নানা অজুহাতে কালক্ষেপন করতে থাকেন। মীমাংসা পত্র মোতাবেক ১৫ দিনের মধ্যে গ্রহীতা বিল্লাল মোল্যা গংয়ের অনুকূলে সম্পত্তি কবলা দলিল রেজিস্ট্রির কথা থাকলেও মোঃ বাবলু মোল্যা বায়না গ্রহীতাদেরকে সম্পত্তি কবলা দলিল রেজিস্ট্রি না দিয়ে অর্থ আত্মসাতের চক্রান্তে লিপ্ত হয়। এছাড়াও নিজে নিজে আক্রমনের নাটক সাজিয়ে ৯৯৯ নম্বারে ফোন দিয়ে বিল্লাল মোল্যা গংদেরকে পুলিশ দিয়ে অহেতুক হয়রানী করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুমন মোল্যার বিরুদ্ধে বিকাশ প্রতারনা চক্রের সদস্য আখ্যা দেওয়ার মত জঘন্য অপবাদসহ হরেক কিসেমের মিথ্যা তথ্য সাংবাদিকদেরকে সরবরাহ করছে। যার লেশমাত্র সত্যতা বা ভিত্তী নেই। বিল্লাল গংকে নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। যার সিআর মামলা নম্বার- ৭৬/২১ ধারা ৪০৬/৪২০।
উত্থাপিত অভিযোগ প্রসঙ্গে মোঃ বাবলু মোল্যার নিকট জানতে চাইলে, তিনি বিল্লাল মোল্যার সঙ্গে বিক্রির বায়নাচুক্তি ও নগদ অর্থ গ্রহণের কথা অস্বীকার করেন। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সালিশী মিমাংসার হয়েছে মর্মে তিনি স্বীকার করেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় এগোতে চাইছেন বলেও জানান।