ফ্রান্সে রাসূল (সাঃ) এর কার্টুন প্রদর্শনের প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন
প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ ,২৭ অক্টোবর, ২০২০ | আপডেট: ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ ,২৯ অক্টোবর, ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধি।। ফ্রান্সে রাসূল (সাঃ) এর ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট কর্তৃক ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে জেলা ইমাম কমিটির উদ্যোগে ২৭শে অক্টোবর-২০ মঙ্গলবার বিকালে রাজবাড়ী জেলা ইমাম কমিটির কার্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। তারা জেলা কমিটির পরামর্শ সভা শেষে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
কর্মসূচী চলাকালে বক্তৃতা করেন- জেলা ইমাম কমিটির সভাপতি আবুল এরশাদ মোঃ সিরাজুম মনির, সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইলিয়াস মোল্লা ও হাফেজ মাওলানা আলাউদ্দিন আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোফাজ্জাল হোসাইন আব্বাসী প্রমুখ।
বক্তারা, ফ্রান্সে রাসূল (সাঃ) এর ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট কর্তৃক ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
janatarmail.com পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই, বাক-স্বাধীনতার নামে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের একাধিক আয়াতে এবং পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের আজানের মধ্যেও বিশ্বনবির মর্যাদা, সম্মান ও আলোচনাকে সবার উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। আমরা, নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অবমাননা, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে ক্রমাগত আঘাতের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
উল্লেখ্য, গত ১৬ই অক্টোবর-২০ ফ্রান্সের প্যারিসের শহরতলী এলাকার এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কার্টুন দেখিয়ে ছিলেন শার্লি এবদোর নামে এক শিক্ষক। এরপর ১৮ বছর বয়সী এক যুবক তাকে গলা কেটে হত্যা করে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স ১৮ বছর। তিনি চেচেন জাতিগোষ্ঠীর এবং জন্ম রাশিয়ার মস্কোতে। নিহত ওই শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন।
এ ঘটনার পর ফ্রান্সের পুলিশ দেশটির অন্তত ৫০টি মসজিদ ও মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ভয়াবহ অভিযান চালায়। প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, হজরত মুহাম্মদের (সাঃ) বিতর্কিত কার্টুন ছাপানো নিয়ে নিন্দা জানাবেন না। একই সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কার্টুন বন্ধে ব্যবস্থা না নেয়া এবং শার্লি এবদোর পক্ষে অবস্থান নেয়ার পর মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়ছে মুসলিম দেশগুলো। তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশে।
আয়শা সিদ্দিকা নামে এক বাংলাদেশি প্রতিবাদকারী হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে ফেসবুকে লেখেন, ফ্রান্সের দুটো সরকারি বিল্ডিংয়ে নবীজির ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তারা ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করবে না। এটা তাদের ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’ (বাক-স্বাধীনতা)। এই ফ্রান্সেই আবার হিজাব নিষিদ্ধ। কী চমৎকার তাদের নিয়ম! ফ্রান্স রাষ্ট্রীয়ভাবে মুহাম্মদ (সা.)-এর বিরুদ্ধে এমন কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা চালাচ্ছে। সারা পৃথিবী চেয়ে চেয়ে দেখছে। সম্প্রতি ফ্রান্স সরকার ৬৮টি মসজিদ ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছে। আরও অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধের তালিকায় আছে।