আজ : শুক্রবার, ৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দের দেবগ্রামে পুরুষ শিকারী গৃহবধু ইসমত আরা যৌনত্রাস, গ্যাড়াকলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী আমিরুল


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১২:৪৯ অপরাহ্ণ ,২৬ অক্টোবর, ২০২০ | আপডেট: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ ,২৬ অক্টোবর, ২০২০
গোয়ালন্দের দেবগ্রামে পুরুষ শিকারী গৃহবধু ইসমত আরা যৌনত্রাস, গ্যাড়াকলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী আমিরুল

মোঃ আলমাস আলী॥  রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তনোপচা গ্রামে বর্তমান অসামাজিক কার্যকালাপ চরম ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বয়ং স্বামীর কৌশলগত সহযোগীতায় চলছে গৃহবধু দিয়ে হরেক রকমের অপরাধ। এছাড়াও ফেনসিডিল, গাজা, ইয়াবা সেবন ও বিকি-কিনিসহ নারীর দ্বারা  বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ হচ্ছে দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা এলাকার নতুন পাড়া গ্রামে। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে বসছে জুয়ার আসার। এসব অপরাধের পাশাপাশি অত্র এলাকার দুঃচরিত্রের এক গৃহবধূ যৌন ক্ষুধা মেটাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাঝে মধ্যে উঠতি মস্তানেরা নতুন পাড়া গ্রামে এসে রাত্র কাটানোসহ বখরা আদায় করছে। নতুন পাড়া গ্রামে যৌন ক্ষুধা মেটানোর অন্তরালে গৃহবধূ দিয়ে অবৈধ অর্থ কামানোর ফন্দিফিকিরের ফাঁদ পাতানো হচ্ছে। ব্ল্যাকমেলিং  ব্যবসা চলছে সমান গতিতে।

সম্প্রতি সময়ে গত ১৯/১০/২০ইং তারিখ সোমবার রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায় হালিমের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী ইসমত আরা নামের এক গৃহবধূ পুরুষ শিকার ও যৌন ত্রাসের সৃষ্টি করছে। কিছুতেই তাকে নিয়ান্ত্রন করা যাচ্ছেনা বলে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক তার এক প্রতিবেশীরা জানায়। তার সাথে নাকি বড় বড় মস্তান, জনপ্রতিনিধি, কতিপয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে উঠবসকরা লোকজনের দহরম-মহরম সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে ঐ প্রতিবেশী দাবী করেন। এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ইসমত আরার পিতার বাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায়। তিনি ছোট বেলা থেকেই স্বাধীন চেতা এবং পরিবারের অবাধ্য। যৌবনে পা দিয়েই সে প্রেম-প্রীতিতে রের্কড সৃষ্টি করে। পিতা-মাতা তাকে পাশের ইউনিয়ন দেবগ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের তেনাপচা গ্রামের দুলাল সরদারের ছেলে হালিম সরদারের সাথে বিবাহ দেন। কিন্ত ইসমত আরা স্বামীর বাড়ীতে থেকেও তার চরিত্র সংশোধন করতে পারেনী। স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান কালে সে প্রতিবেশী ইদ্রিস সরদারের বড় ছেলে (তার চেয়ে ১০ বছরের ছোট) ইলেকট্রিক মিস্ত্রী ও সদ্য এসএসসি পাশ ছাত্র আমিরুল সরদারের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঐ স্কুল পড়ুয়া যুবকের সাথে জোরপূর্বক মিলামেশা করতে গিয়ে স্বামীর হাতে ধরা পড়ে। স্বামী হালিম সরদার, দেবর লিটন সরদার, শুশুর দুলাল সরদার ওরফে দুলাই সরদার যোগসাজসে হালিমের স্ত্রীর কথিত প্রেমিক ইলেকট্রিক মিস্ত্রী আমিরুল (১৭) কে বেধরক মারপিট করে রাত্রের বেলায় গুরুত্বর জখম করেন। প্রায় মৃত অবস্থায় আমিরুলকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রতিপক্ষের আঘাতে আমিরুর সরদারের হাতের আঙ্গুল থেতলে ও মাথায় সমস্যা হয়ে গেছে। তার শারিরীক অবস্থা আশংখা জনক বলে তার মা দাবী করেন।

অপরদিকে, হালিম সরদার তার স্ত্রীকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেন। ঘটনার রাত্রেই প্রেমিক আমিরুলের বাড়ীতে তার স্ত্রী ইসমত আরাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্ত আমিরুলের বাড়ীর লোকজন হাসপাতালে থাকায় বাড়ীটি তালা বন্ধ অবস্থায় থাকে। ফলে স্থানীয় মাসুদ মেম্বর, চৌকিদার হামেদের নিকট ঐ মহিলাকে নিরাপদে রাখেন। ঘটনার পরদিন সকাল বেলা দেবগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম গোয়ালন্দ থানা পুলিশের মাধ্যমে ওই গৃহবধুকে তার অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করেন বলে মাসুদ মেম্বর এ প্রতিবেদককে জানায়।

উল্লেখ্য, গত ১৯/১০/২০ইং তারিখ সোমবার রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায় পরকীয়ায় ধরা খাওয়া প্রেমিক একই গ্রামের ইদ্রিস সরদারের ছেলে আমিরুল সরদারের অবস্থান হাসপাতালে হলেও প্রেমিকা আসমত আরাকে তার স্বামী হালিম সরদার কোন প্রকার আঘাত করেন নাই বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। হালিম সরদারের বসত ঘরের মধ্যে স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশী যুবক আমিরুল সরদারের মিলামেশার ঘটনাকে রহস্য জনক বলে দাবী করছেন। তারা বলছেন, হালিম সরদার ও তার স্ত্রী যোগসাজসে এই সাজানো নাটক করেছেন। কিছু টাকা হলে ঘটনাটি সাবাবিক হয়ে যাবে। এলাকার কিছু মাতুব্বর এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছেন মর্মে তারা দাবী করেন।

এ ব্যাপারে, হালিমের স্ত্রী ইসমত আরার নিকট তার মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমিরুল হাসপাতাল থেকে বাড়ী আসলে তাদের বিবাহ হবে। আমিরুল রাজি না হলে ? উত্তর: স্বামীর বাড়ী থাকবো। কত দিনের প্রেম ? উত্তর: ৪/৫ মাস। স্বামী থাকা সত্তেও পরকীয়া কেন ? স্বামী অক্ষম। আমিরুল আপনার কত বছরের ছোট হবে ? প্রেম-ভাল বাসার কোন বয়স লাগে না। এখন কোথায় আছেন ? উত্তর: বাবার বাড়ীতে। স্বামীর বাড়ী কখন যাবেন ? উত্তর: ২/১ দিনের মধ্যে যাবো।

হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহত যুবক আমিরুল সরদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি এবার এসএসসি পাশ করেছি, আমরা গরীব এইজন্য পড়ালোখার পাশাপাশি ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর কাজ করি, যেখানে বা যে বাড়িতে ডাকে সেই বাড়িতেই কাজ করি।  ঘটনারদিন রাতে হালিমের স্ত্রী, বাড়ীতে বিদ্যুৎ নাই বলে ডেকে নেয়, আমি তার ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখি মিটারের মেইন সুইচ বন্ধ রয়েছে, আমি খাটের উপরে উঠে সুইচটি অপেন করতে গেলেই হালিমের স্ত্রী আমাকে ঝাপটে  জরিয়ে ধরেন, এ সময় আমি ছুটার চেষ্টা করতে না করতেই বাহির থেকে তার স্বামী হালিম ঘরে ঢুকে আমাকে মাইর ধর শুরু করেন, সাথে সাথে তার ছোট ভাই লিটন ও তার বাবা দুলাই ঘরে প্রবেশ করেন এবং লাঠি দ্বারা আমাকে বেধরক মারপিট করেন এবং মোবাইল ও মানিব্যাগ কেড়ে নেয়। পরবর্তীতে কি ঘটেছে আমি আর বলতে পারবো না। আমি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।  (২০২০ সালে এসএসসি পাশের মার্কসিট দেখা গেছে)।

এ বিষয়ে, গোয়ালন্দ থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবির বলেন- এ ঘটনার কথা দেবগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ওই গ্রামের চৌকিদারের সাথে হালিমের স্ত্রী ইসমত আরা থানায় এসেছিল, আপাতত তাকে তার অভিভাবকের সাথে বাবার-মায়ের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

আজ সকালে আমিরুল সরদারের মা জানান- রাজবাড়ী হাসপাতাল থেকে গতকাল বাড়িতে আনার পর তার শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমিরুলকে আজ সকালে ফরিদপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তার বেশি সমস্যা হয়েছে মাথায় ও হাতের আঙ্গুলে। এদিকে আমিরুলের নিয়ে টেনশন, আরেকদিকে আজ আবার সকালে ওই মহিলা ইসমত আরা জোড়পূর্বক আমাদের বাড়িতে এসে বসে রয়েছে, ওই মহিলা আমার ছেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যা খুশি তাই করবে, আমরা এখন কি করবো? এই মহিলার হাত থেকে আমরা বাঁচতে চাই।

Comments

comments