আজ : শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএনওকে তথ্য দেয়ায় সাংবাদিককে প্রাননাশের হুমকি


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ ,৩১ মার্চ, ২০২০ | আপডেট: ৮:৩৯ অপরাহ্ণ ,৩১ মার্চ, ২০২০
ইউএনওকে তথ্য দেয়ায় সাংবাদিককে প্রাননাশের হুমকি

আদম আলী।। ভোলা চরফ্যাশনে নিশিদ্ধ সময়ে প্রকাশ্যে ইলিশ মাছ বিক্রির তথ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেয়ায় তরুন সাংবাদিক জিহাদুল ইসলামকে প্রাননাশের হুমকি দিয়েছে বাজার কর্তৃপক্ষ।

হুমকির শিকার সাংবাদকর্মী জিহাদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান- নিষিদ্ধ সময়ে প্রতিদিন কাশেমগন্জ বাজারে প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাই। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, করোনা ভাইরাস সচেতনতায় সমস্ত বাজার বন্ধ থাকার কথা বলা থাকলেও সেখানে তখনও প্রচুর জনসমাগম এবং প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি চলছে। তখন পুরো দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্ধি করি, এবং ইলিশ মাছ ব্যাবসায়ী সুমনের সাথে কথা বলি সে বলে নির্বাহী অফিসার ও মৎস্য অফিসার নাকি সেখান থেকে মাছ নেয়। এ তথ্যটিও আমি ক্যামেরাবন্ধি করি।

সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানায় যে এই বাজারে প্রতিদিন এভাবেই মাছ বিক্রি করা হয় এবং প্রশাসন টহল আসার ৫ মিনিট আগেই ব্যাবসায়ীরা তথ্য পেয়ে যায় তাৎক্ষনিং মাছগুলো সরিয়ে নেয়। টহল চলে গেলে আবার বিক্রি চলে। এরপরে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন কে মুঠোফোনে বিষয়টি অবগত করি। তখন তিনি ফোর্স পাঠাবেন বলে আশ্বাস দেন। অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পর পুলিশ পৌছে ঘটনাস্থলে তারা বাজারের এক মাথায় মটরসাইকেল রেখে বাসিঁর সিটি দিয়ে হেটে হেটে প্রবেশ করে বাজারের ভেতর। বলা যায় অজানা কারনে এ সময় মাছগুলো নিয়ে সামনে দিয়েই পালিয়ে যায় ব্যাবসায়ীরা। পুলিশ এসে উল্টো আমাকে প্রশ্ন করেন মাছ কোথায়? তখন তাদেরকে কিছুক্ষন আগের ক্যামেরাবন্ধি ছবিগুলো দেখাই। ছবি দেখার প্রতিউত্তরে তারা বলেন, বলবে মাছ বিক্রি হয়ে গেছে। এরপর আমি সেখান থেকে চলে আসি। আর চলে আসার পরপরই শুরু হয় মোবাইল ফোনে ভিবিন্নভাবে হুমকি দেয়া। এবং বাজার কতৃপক্ষের এক সদস্য মনির হাওলাদার আমার টেলিফোন নাম্বার না পেয়ে আমার এক পরিচিত জনকে টেলিফোনে আমাকে প্রাননাশের হুমকি ছুরে দেয়। সেই কল রেকর্ডিং এর কপি সংগ্রহ করে আমার কাছে রাখা আছে।

Comments

comments