ডিএনসি কতৃক ফের ফেন্সিডিলসহ গুড় সোহেল ও মানিক আটক
প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ ,১৯ জানুয়ারি, ২০১৯ | আপডেট: ৭:৫০ অপরাহ্ণ ,১৯ জানুয়ারি, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিনিধি।। রাজবাড়ীতে ৬ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক ব্যাবসায়ী খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে গুড় সোহেল (৪৪) কে এবং ৪ বোতল ফেন্সিডিল সহ মোঃ রেজাউল ইসলাম মানিক (৩৩) কে পূনরায় আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) সদস্যরা।
১৯শে জানুয়ারী-১৯ শনিবার সকাল সাড়ে ৭.টার দিকে জেলা শহরের গুড় বাজারের দোকান হতে খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে গুড় সোহেল (৪৪) কে এবং একইদিন পৃথক অভিযানে- সকাল ১০.টার দিকে জেলা শহরের বিনোদপুর কলেজপাড়া আব্বাস উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ রেজাউল ইসলাম মানিক কে ৪ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করা হয়।
আটককৃতদের পরিচয়ঃ মাদক ব্যাবসায়ী খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে গুড় সোহেল হচ্ছে- রাজবাড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদপুর কলেজপড়া এলাকার খন্দকার আব্দুর রবের ছেলে ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অপরদিকে, মোঃ রেজাউল ইসলাম মানিক হলো- রাজবাড়ী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদপুর কলেজপড়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে।
এ বিষয়ে, রাজবাড়ী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ধঞ্জয় চন্দ্র দেবনাথ এক মেইল বার্তার মাধ্যমে “জনতার মেইল.কম”কে জানান- সোহেল রাজবাড়ী বাজারের গুড় ব্যাবসায়ী ও তার একটি দোকান রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে ওই ব্যাসার আড়ালে ফেনসিডিলের ব্যবসা করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকালে তার দোকানে অভিযান চালানো হয়। এসময় লোহার সিন্দুকের ভেতর থেকে ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে আটক করা হয়। এবং একই দিন পৃথক অভিযান চালিয়ে সকাল আনুমানিক ১০.টার দিকে জেলা শহরের বিনোদপুর কলেজপাড়া আব্বাস উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ রেজাউল ইসলাম মানিক কে ৪ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করা হয়। এ ঘটনায়, তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো জানান, সোহেল কে ইতিপূ্র্বে ফেনসিডিল সহ আমরা আটক করেছিলাম।
উল্লেখ্য, ৯ জুলাই-১৭ রোববার বিকেলে রাজবাড়ী গুড় বাজারের নিজ দোকান হতে ২৮ বোতল ফেনসিডিলসহ খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে গুড় সোহেল (৪২) আটক করেছিল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সে জেল থেকে জামিনে বেড়িয়ে এসে পূনরায় ফেনসিডিল ব্যাবসা শুরু করে। আজ আবারো তাকে আটক করা হয়। রাজনীতির সাইনবোর্ড লাগিয়ে বার বার অপরাধ করার এমন ঘটনায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কারের দাবী জানিয়েছে এলাকার সাধারন মানুষ।