ঈদ উপলক্ষে মাহেন্দ্র গাড়ীতে চাঁদাবাজিকালে রাজবাড়ী ডিবির হাতে ২ চাঁদাবাজ আটক; মূলহোতা জুয়েল পলাতক
প্রকাশিত: ৮:২০ অপরাহ্ণ ,২৪ এপ্রিল, ২০২৩ | আপডেট: ২:৪৫ পূর্বাহ্ণ ,২৬ এপ্রিল, ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টার।। ঈদ আসলেই শুরু হয় দৌলতদিয়া ঘাটে পরিবহণে চাঁদাবাজী। তারই ধারাবাহীকতায় ঈদকে সামনে রেখে মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ ওরফে জুয়েলের নেতৃত্বে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে প্রতিটি মাহেন্দ্র গাড়ী (প্রায় ২শ) চালকদের নিকট থেকে জোড়পূর্ব ১৭০ টাকা করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করার সময় হাতে-নাতে ২ জন চাঁদাবাজকে আটক করেছে রাজবাড়ী ডিবি পুলিশ। আটককৃতদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদার ৮ হাজার টাকা, চাঁদা আদায়ের ২টি রশিদ বই ও ঈদ মোবারক লেখা স্টিকার উদ্ধার করে। এ সময় কৌশলে পালিয়ে যায় মূলহোতা চাঁদাবাজ লিডার মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ ওরফে জুয়েল।
আটককৃত চাঁদাবাজরা হলো; গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের মৃত-আরশেদ আলী চৌধুরীর ছেলে মোঃ হাবলু চৌধুরী(৬৫) ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বাহিরচর দৌলতদিয়া গ্রামের মৃত-জলফু মোল্লার ছেলে ফজলু মোল্লা(৪৯)।
জানাযায়, ২০/০৪/২০২৩ তারিখ বিকেল ৪ ঘটিকায় ডিবি পুলিশের ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান খানের নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে যাত্রাপথে জনসাধারনের নিরাপত্তা মূলক ডিউটি পরিচালনা করাকালীন, জনৈক মাহেন্দ গাড়ীর মালিক মোঃ মজনু সরদার(৩২) এর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে, রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালের কুষ্টিয়া বাস কাউন্টারের পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার উপর মাহেন্দ্র গাড়ী চালকদের ভীত সন্ত্রস্ত এবং বাধ্যকরে ১৭০ টাকা চাঁদার ঈদ মোবারক লেখা স্টিকার এবং ১০০ টাকা চাঁদার ডিপারচার শ্লিপ ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করার সময় ওই চাঁদাবাজদেরকে হাতে-নাতে আটক করা হয়।
এ সময় চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ (জুয়েল) সাধারন সম্পাদক কর্তৃক স্বাক্ষরিত ঈদ মোবারক লেখা স্টিকার, যাহাতে রাজবাড়ী জেলা ডিজেল চালিত অটোরিক্স/অটোটেম্পু মালিক গ্রুপ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রেজি: নং-১৩/১৩, ঈদ উপলক্ষে সংগঠনের ব্যয় ও দূর্ঘটনা প্রতিরোধের ব্যয় বাবদ চাঁদা আদায়ের ২টি রশিদ বই, অব্যবহৃত স্লিপ ও আদায়কৃত চাঁদার ৮,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবির ওসি জানায়, পলাতক আসামী ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েলের নের্তৃত্ত্বে উক্ত চাঁদাবাজদের একটি গ্রুপ অবৈধভাবে ঈদকে সামনে রেখে মাহেন্দ্র মালিকদের নিকট থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছিল। জানা যায় যে, উক্ত গ্রুপ দৌলতদিয়া থেকে রাজবাড়ী রোডে চলাচল করা প্রায় ২০০/২৫০ মাহেন্দ্র থেকে এভাবে চাঁদা আদায় করছিল। তাদেরকে গ্রেফতারে সাধারন মাহেন্দ্র মালিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
লোকজন উষ্মা প্রকাশ করে বলেছে পুলিশের কাছে তারা এমনটাই আশা করে। রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সব সময়ই জনগনের কল্যানে কাজ করে এবং পাশে থাকে। এ বিষয়ে গোয়ালন্দ থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন আছে।