রাজবাড়ীর রামকান্তপুরে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে প্রতিবেশী গুরুত্বর জখম! ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি আছে
প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ ,২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ ,২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার।। রাজবাড়ীর রামকান্তপুরে বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ প্রতিবেশির ছুরিকাঘাতে আলী হোসেন(৪৮) নামের অপর এক প্রতিবেশী গুরুত্বর জখম।সিদ্দিক মিয়া জানান- আলী হোসেনের বুকে ছুরিকাঘাত করেছে বখাটে সন্ত্রাসী প্রতিবেশি আলামীন(২৪)।এ সময় তার সঙ্গে ছিল আজিজুল ও তার মা আসমা সহ অজ্ঞাত ৫-৬জন। জখমকৃত অবস্থায় আলী হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭শে সেপ্টেম্বর-২২) সকাল সারে ৭ টার দিকে জখমকৃতর নিজ বাড়ীর সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে জখমকৃত আলী হোসেন- রাজবাড়ী জেলা সদরের রামকান্তপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডস্থ রামকান্তপুর গ্রামের মৃত আঃ বাতেন মিয়ার ছেলে।
হামলা কারীরা হলো; প্রতিবেশি আঃ রাজ্জাকের ছেলে আলামিন, নুর ইসলামের ছেলে আজিজুল ও তার স্ত্রী আসমা।
জমি-জমা সংক্রান্ত দন্দের জেরে সালিশে উপস্থিতিদের সামনেই আলী হোসেনকে কুপানোর ঘটনায় জখমকৃত আলী হোসেনের ছোট ভাই মোঃ সিদ্দিকুর রহমান মিয়া বলেন- আমাদের নিজের যায়গায়-ই বাউন্ডারি করেছি এবং প্রতিবেশীদের যাতায়াতের জন্য ৪ ফুট যায়গা রেখেই বাউন্ডারি নির্মান করেছি। যাতায়াতের রাস্তাও আমাদের জায়গা। সে জায়গা দিয়েও নাকি যাতায়াতের সমস্যা হয়। তাদের আরোও জায়গার দরকার, সে কারনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা সালিশে বসে পথ প্রসস্থকরনের জন্য আমাদের বাউন্ডারি ভেঙ্গে দিয়ে আরোও ২ ফুট জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। আমরা তাদের কথা মেনে এক সপ্তাহের সময় নেই। কারন দেয়াল ভাঙতে টাকা পয়সারও দরকার। কিন্তু সময়ের আগেই সোমবার (২৬শে সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আঃ রাজ্জাকের ছেলে আলামীন, নুর ইসলামের ছেলে আজিজুল ও তার মা আসমা সহ অজ্ঞাত ৫-৬ জন মিলে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র সজ্জিত হয়ে আমাদের বাউন্ডারি ও রান্না ঘর ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় বাধা দিলে ধারালো অস্ত্র উচিয়ে হত্যার হুমকী দেয়। আমরা ভীত ও হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে তারা ভাংচুর করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমাদের আত্নচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তার চলে যায়। যাওয়ার সময় আমাদেরকে গালিগালাজ করে ও গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় আলামীন।
এ ঘটনায় পর দিন এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্যদের ডাকলে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে স্থানীয় ৬নং ইউপি সদস্য ইব্রাহীম, ৪নং ইউপি সদস্য আবুল কালাম, রামকান্তপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি আহসানউল্লাহ সহ অন্যান্যরা আমাদের বাড়ীতে আসেন ও আলোচনায় বসেন। আলোচনা চলাকালে আঃ রাজ্জাকের ছেলে আলামীন হটাৎ উত্তেজিত হয়ে আমার ভাই আলী হোসেনকে গিয়ার চাকু বুকে ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় তাকে দ্রুত রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে সেখানে চিকিতসাধীন আছে । তিনি আরোও বলেন- আলামীন আমাকেও গুলি করে হত্যার হুমকী দিয়েছে, এখন আমি প্রান সংশয়ে আছি। যে কোন সময় তারা আমাকে মেরে ফেলতে পারে, এ ব্যাপারে আমি মামলা করবো।
আলী হোসেনের শ্যালক আবু দাউদ নাসির বলেন- আমার দুলাভাই আলী হোসেনকে কোপানোর খবর পেয়ে আমি দ্রুত রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে যাই, পরে সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।