আজ : শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালুখালীতে নিখোঁজ জিডি তদন্তে মিললো লাশের সন্ধান! আসামীরা জানায় লজ্জাকর ঘটনা


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৭:৩৯ অপরাহ্ণ ,২৩ জুলাই, ২০২২ | আপডেট: ১০:৫১ অপরাহ্ণ ,৩১ জুলাই, ২০২২
কালুখালীতে নিখোঁজ জিডি তদন্তে মিললো লাশের সন্ধান! আসামীরা জানায় লজ্জাকর ঘটনা

স্টাফ রিপোর্টার।। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের পূর্ব বাগদুলী গ্রামের হাবিবুর রহমান খান(৬০) তার পাতানো ধর্ম জামাই কালুখালী উপজেলার বড় পাতুরিয়া গ্রামের মোকছেদ আলীর বাড়ী থেকে ২১শে জুলাই সকাল ৯.টার দিকে বের হয়ে আসার পর হতে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বাড়ীর লোকজন যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। এ ব্যাপারে নিখোঁজ হাবিবুর রহমান খানের ছেলে চাঁদ খান(২০) ২২শে জুলাই সন্ধ্যা পৌনে ৭.টার দিকে কালুখালী থানায় এসে জিডি এন্ট্রি করে। জিডি নং ৮২৮। উক্ত জিডি’র পর কালুখালী থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিদের শনাক্তপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়।

সন্দেহভাজন সিদ্দিকুর মন্ডলের বাড়ী বড় পাতুরিয়া গ্রামে। একটি মোবাইল ফোন সে ও তার স্ত্রী নারগিস বেগম দু’জনই ব্যবহার করে। নারগিসের সাথে ভিকটিম হাবিবুর রহমান খানের মোবাইল ফোনে ৩/৪ মাস পূর্ব থেকে যোগাযোগ ছিল বলে স্বীকার করে। ভিকটিম বিভিন্ন সময় নারগিস বেগমকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কু-প্রস্তাব দিত। কিন্তু নারগিস বেগম তাতে সায় দিত না। তা সত্ত্বেও ভিকটিম হাবিবুর রহমান খান নাছোড়বান্দা ছিল। সে নারগিস বেগমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে।

সেই লক্ষ্যে ২১শে জুলাই সকালে ভিকটিম হাবিবুর রহমান খান কয়েকবার নারগিস বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে। নারগিস বেগম তার স্বামীর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে উক্ত হাবিবুর রহমান খানকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে।

হাবিবুর রহমান খান নারগিস বেগমদের বাড়ীতে আসার পর ঘরে ঢুকলে পরিকল্পনা অনুযায়ী নারগিস বেগম কুড়াল দিয়ে হাবিবুর রহমান খানের মাথায় আঘাত করে। আঘাতের ফলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। তারপর নারগিস বেগম ও তার স্বামী সিদ্দিকুর মন্ডল মিলে দা এবং কুড়ালের অপর পিঠ দিয়ে অসংখ্য আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। উক্ত মৃতদেহকে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে বাড়ীর ভিতরের আঙ্গিনায় ছাগলের ঘরের চালায় দুই ফুট মাটি খুঁড়ে চাপা দিয়ে দেয় এবং উপরে পাটকাঠিসহ অন্যান্য জ্বালানী রেখে দেয়-যাতে কেউ সন্দেহ করতে না পারে।

ভিকটিমের অর্ধগলিত মৃতদেহ ও ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল আলামত নারগিস বেগমের বাড়ী থেকে পুলিশ উদ্ধারপূর্বক সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ করে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

Comments

comments