রাজবাড়ীর চরাঞ্চলে টমেটো চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষীরা।
জনতার মেইল.ডটকম
প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ ,২২ জানুয়ারি, ২০২২ | আপডেট: ১:১৮ পূর্বাহ্ণ ,২৪ জানুয়ারি, ২০২২
প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ ,২২ জানুয়ারি, ২০২২ | আপডেট: ১:১৮ পূর্বাহ্ণ ,২৪ জানুয়ারি, ২০২২
বিধান কুমার।। শীতকালীন সবজির মধ্যে জনপ্রিয় সবজির একটি হলো টমেটো আর এই টমেটো চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চরাঞ্চলের চাষীরা। টমেটো রান্নার বহুল ব্যবহৃত একটি অতি প্রয়োজনীয় সবজি। টমেটো অনেক রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি সব রকমের খাবারে সালাত হিসাবেও ব্যবহার হয়। টমেটোর চাটনি মুখরোচক খাবার হিসাবে অতুলনীয়। কিন্তু এই টমেটো চাষেই আগ্রহ হারাতে বসেছে চাষীরা।
শনিবার ২২ জানুয়ারি সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাউয়াজানি গ্রামের বর্গা চাষী আলতাব আলী সরদার হতাশা নিয়ে বলেন, গতবছর পদ্মা নদীতে নিজের বসতভিটাসহ ফসলী জমি নদীভাঙ্গনের কবলে হারিয়ে অন্যের কাছ থেকে ২৬ শতাংশ জমি শনকরালি নিয়ে বসতভিটা গড়ে বসবাস করছি কাউয়াজানি গ্রামে। এ এলাকায় প্রতি বিঘা জমি ২৫ হাজার টাকা দরে মোট ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে ৩ বিঘা জমিতে অনেক আশা নিয়ে টমেটো রোপণ করি। এবারের শীতে অতিরিক্ত কুয়াশা, অসময়ে অতিবৃষ্টিতে টমেটোতে পঁচন ধরায় খরচের টাকাও উঠাতে পারছি না। এবারের টমেটো চাষে লাভ তো দূরের কথা চাষ করতে যে টাকা খরচ করেছি তা উঠানো কষ্টকর। তিনি হতাশা নিয়ে বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করতে বীজ,সার,শ্রমিকের মজুরি দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ২ শত মন টমেটো হওয়ার কথা থাকলেও অতিবৃষ্টি,কুয়াশার কারণে বিঘা প্রতি টমেটো ধরেছে ১ শত মনের মতো। মন প্রতি টমেটোর দাম যাওয়ার কথা ১ হাজার থেকে ১২ শত টাকা বিক্রির কথা থাকলেও এখন দাম যাচ্ছে ৪ শত ৫০ টাকা হতে ৫ শত টাকা মন। কাউয়াজানি চরের টমেটো চাষী বাবু সরদার, রাজ্জাক সরদার, মোসলেম সরদার, কাশেম শেখ বলেন এবারের কুয়াশা ও বৃষ্টিতে অনেক টমেটোতে পঁচন ধরায় বাজারে তেমন দাম পাচ্ছি না। স্থানীয় বাজারে টমেটোর দাম কমে যাওয়ায় আমরা একটু বেশি দামের আশায় মিরপুরের পাইকারি বাজারে নিয়ে বিক্রি করছি তাতেও তেমন লাভবান হচ্ছি না।
কাউয়াজানি চরের আরেক চাষী নিজাম শেখ বলেন, এবছর এই এলাকায় ২ বিঘা জমি নিয়ে টমেটো চাষ করেছি। দুই বিঘা জমিতে ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করেছি। ২ শত মন টমেটো ধরার কথা থাকলেও এবার ফলন খুব কম হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও ঘন কুয়াশা থাকায় ক্ষেতের ৩ ভাগের ২ ভাগ টমেটোতে পঁচন ধরেছে। এবার আর লাভের মুখ দেখা সম্ভব নয়।