আজ : বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়ার বাসিন্দা লিলি বেগম নিখোঁজ মামলার আসামী পিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ ,৩০ জুন, ২০২২ | আপডেট: ১১:৩২ অপরাহ্ণ ,২ জুলাই, ২০২২
দৌলতদিয়ার বাসিন্দা লিলি বেগম নিখোঁজ মামলার আসামী পিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার।। দেশের সর্ববৃহৎ গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দা নারী নেত্রী লিলি বেগম (৩৮) গত ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর নিখোঁজ ঘটনায় প্রথমে থানায় জিডি ও পরে আদালতে দায়েরকৃত মামলার আসামি লতিফ শেখ(৪৮) ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম(৪০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ফরিদপুরের একটি দল।

গত ২৯ জুন-২২ বুধবার লতিফকে দৌলতদিয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে ও তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই মোঃ সালাউদ্দিন। পরদিন ৩০ জুন তাদেরকে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ১ দিনের রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১২ই নভেম্বর লিলির ভাগ্নে মো. শফি ইসলাম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় জিডি করে। এরপর লিলির মেয়ে জামাই ও যৌনপল্লীর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা মুরাদ হোসেন গত ১৪ ই ডিসেম্বর-২১ রাজবাড়ীর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানাকে নথিভুক্ত করতে এবং তদন্তের জন্য ফরিদপুর পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়।

এ মামলার ৩ নং আসামি লতিফ শেখের ছেলে রবিউল শেখ (২৪)। আসামিরা দৌলতদিয়া শামসু মাষ্টার পাড়ার বাসিন্দা। লতিফ শেখ দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি।

নিখোঁজ লিলি বেগম: দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাড়ীয়ালী ও যৌনকর্মী এবং যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের অধিকার ও উন্নয় নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন ‘মুক্তি মহিলা সমিতি’র (এমএমএস) কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি।

মুরাদ হোসেন কতৃক আদালতে দায়েরকৃত মামলার অভিযোগে প্রকাশ: আসামী লতিফ সেখ দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর অভ্যন্তরে অবস্থিত লিলি বেগমের বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত ও অবস্থান করত। নিবির ঘনিষ্টতার কারণে লতিফ স্থানীয়ভাবে লিলি বেগমের স্বামী হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিল।। গত ১০ নভেম্বর দুপুর ১ টার সময় লিলি বেগমকে তার কথিত স্বামী লতিফ সেখ দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে তার নিজ বাড়ীতে ডেকে নেয়। ওই দিন বিকেলে লিলি বেগমের স্বজনরা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়েও অদ্যাবধি তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, লিলি বেগম গত ১০ নভেম্বর তার কথিত স্বামী দৌলতদিয়া সামসু মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে দুপুরে বাড়ি থেকে বের হন। ওইদিন বিকালে লিলি বেগম বাড়িতে না ফেরায় তার পল্লীর বাড়ির ভাড়াটিয়া পুষ্প ও ঝর্ণা মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু লিলির মোবাইল বন্ধ থাকায় তারা লিলির আত্মীয় স্বজনদের নিকট বিষয়টি জানায়। স্বজনরাও নানাভাবে খোঁজ করে ব্যর্থ হন। যে কারণে লিলির বোনের ছেলে মো. শফি ইসলাম ১২ নভেম্বর এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর লিলির মেয়ে জামাই ও যৌনপল্লীর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা মুরাদ হোসেন গত ১৪ ই ডিসেম্বর-২১ রাজবাড়ীর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়াও ১৫ নভেম্বর মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ স্থানীয় প্রশাসনের নিকট লিলি বেগমকে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে লিখিত আবেদন করেন।

Comments

comments