আজ : রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজাকার পুত্রদের দম্ভ চূর্ণ করতে- মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহবান আইজিপির


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ ,২৯ জুলাই, ২০২১ | আপডেট: ১:০৩ পূর্বাহ্ণ ,২ আগস্ট, ২০২১
রাজাকার পুত্রদের দম্ভ চূর্ণ করতে- মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহবান আইজিপির

ডেস্ক রিপোর্ট।। ‘আমরা হতভম্ব হয়ে দেখি রাজাকার পুত্ররা দম্ভের সঙ্গে চিৎকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছে, আমি রাজাকার পুত্র। স্বাধীনতার মাত্র পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এ রাজাকারের পুত্র-সন্তানরা কিভাবে এ দুঃসাহস পায় বাংলার মাটিতে? যারা দুই লাখ নারীর সম্ভ্রম হরণ করেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে খুন করেছে; গণহত্যা চালিয়েছে তা‌দের পক্ষ নি‌য়ে দম্ভ করার দুঃসাহস পায় কি-ভাবে?’

২৮ জুলাই-২১ বুধবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি নোয়াখালী জেলা পুলিশ নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ‘নির্ভীক’, নবনির্মিত সুধারাম মডেল থানা, সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশ লাইন্স নারী ব্যারাক ভবন উদ্বোধন এবং ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেছেনন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্ম তুলে ধরার আহবান জানিয়ে- আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে আমাদের পূর্বসূরীরা  যে  দেশটিকে আমাদের জন্য উপহার দিয়েছেন, তাদের  যে অনবদ্য আত্মত্যাগ, সে আত্মত্যাগের মর্যাদা ধরে রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা। এটি একটি ঐতিহাসিক দায়, একটি ঐতিহাসিক কর্তব্য। দেশ ও মানু‌ষের জন্য।’
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর  নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ যে দুর্নিবার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছিল, আমাদেরকে  সেই অহংকারের জায়গাগুলোকে আরও সুসংহত করতে হবে। এক্ষেত্রে এ ধরনের পুস্তক, ভাস্কর্য হতে পারে অন্যতম নিয়ামক, যাতে আমরা কখনো ইতিহাস বিস্মৃত না হই।
পুলিশ প্রধান বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশের যে অবদান ও ভূমিকা রয়েছে তা দুটি কারণে ডকুমেন্টেড হওয়া দরকার। একটি হলো জাতির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ইতিহাস এবং  ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে।
নোয়াখালী  জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর  হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা  মোস্তফা কামাল,  চট্টগ্রাম  রেঞ্জের ডিআইজি  মোঃ আনোয়ার  হোসেন, ঢাকা  রেঞ্জের ডিআইজি ও ‘বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ এর সভাপতি হাবিবুর রহমান এবং নোয়াখালী  জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ  খোরশেদ আলম খান বক্তব্য রাখেন।

ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে এসময়- পুলিশ সদর দপ্তর প্রান্তে অতিরিক্ত আইজিপি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, এস এম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজি মো. মাজহারুল ইসলাম ও এটিইউর অতিরিক্ত আইজি মো. কামরুল আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে, আইজিপি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ভাস্কর্য ‘নির্ভীক’,  নোয়াখালী  জেলা পুলিশের নবনির্মিত সুধারাম মডেল থানা, সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশ লাইন্স নারী ব্যারাক ভবন  র্ভাচুয়ালি উদ্বোধন করেন।
তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ-নোয়াখালী জেলা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

Comments

comments