রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত।
প্রকাশিত: ১১:০৯ অপরাহ্ণ ,২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | আপডেট: ১১:১১ অপরাহ্ণ ,২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বিধান কুমার।। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সারাদেশে আ’লীগের বর্ধিত সভা ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।এতে দলীয় কার্যক্রম আরো গতিশীল ও শক্তিশালী হবে। কেন্দ্রীয় আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুখ খান আরো বলেন, দলকে শক্তিশালী ও গতিশিল করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সারাদেশে মোট ৮ টি দলে নেতাকর্মীদের দায়িত্ব প্রদান করেছেন। তারই অংশ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় টিম আজকে রাজবাড়ী জেলায় বর্ধিত সভায় আসছি।এই বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান কর্মকাণ্ড এবং আগামী দিনে আমাদের দলকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষে আলোচনা হয়েছে।এতে দলের সঠিক নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে।তিনি বলেন আগামীতে যে সম্মেলন হবে সেই সম্মেলনের প্রস্ততি কেমন হচ্ছে এটা নিয়ে আমরা মূল্যয়ান করবো। আপনারা জানেন যে আমাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন উপজেলা ও জেলাতে আমরা সম্মেলন করছি।যেখানে যেখানে সম্মেলনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা দলকে আরো শক্তিশালী করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি জননেত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিযে যাচ্ছে।রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভা শুরু হয় সকাল ১১টায়।১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে সভা। সভাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগ। প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে.কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি তার বক্তব্যের শুরুতে আজকের সুন্দর ‘বর্ধিত সভার আয়োজন করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জানান। সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন সদস্য বলেন, বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার দ্বাদশ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য জেলার নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়েছেন।দলীয় ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সভায় উপস্থিত তিনজন নেতা বর্তমান সভাপতি মো. জিল্লুল হাকিম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইরাদত কাজী সম্পর্কে বেশ কিছু খারাপ কথা বলেছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন এগুলো সাংগঠনিক কথা না। এগুলো ব্যক্তিগত আক্রমণ। এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন তো রাজনীতি করছি।কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনার বিন্দুমাত্র আভাস পাওয়া যায়নি।নেতৃবৃন্দ বলেছেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে নেমেই বুঝতে পেরেছি রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ অত্যন্ত শক্তিশালী একটি সংগঠন।তবে অল্প সময়ে কাজী ইরাদত আলীর সংগঠনিক কর্মকান্ডের ওপর ব্যাপক খুশি হয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। বর্ধিত সভায় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সানজিদা খানম। এসময় অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আকবর আলী মর্জি, সাবেক পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী প্রমুখ। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের ছবি দিয়ে বানানো ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা। মহাসড়কের প্রায় শতাধিক স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। জেলার বিভিন্ন স্তরের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে শুভেচ্ছাবার্তার ফেস্টুন ও তোরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে শহরকে। বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব দলীয় নেতাকর্মীরা। সকলা থেকেই বর্ধিত সভাকে সফল করতে রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে দলে দলে নেতাকর্মীরা শিল্পকলা একাডেমীর সামনে এসে জরো হয়। পরে শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বর্ধিত সভা।