আজ : বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না `ইউটিউব চ্যানেল’ ও ‘আইপি টিভ ‘। অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের কাজ চলছে


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ ,১৫ অক্টোবর, ২০২০ | আপডেট: ১:২৩ পূর্বাহ্ণ ,১৬ অক্টোবর, ২০২০
সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না `ইউটিউব চ্যানেল’ ও ‘আইপি টিভ ‘। অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের কাজ চলছে

জনতার মেইল ডেস্ক।।  আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘ইউটিউব চ্যানেল’ ও ‘আইপি টিভি’ সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

১৫ অক্টোবর-২০ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এর আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মন্ত্রী।

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউটিউব চ্যানেল’ এবং ‘আইপি টিভি’ নিবন্ধনের জন্য আমরা দরখাস্ত আহ্বান করেছি। সেগুলো প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। তদন্ত হওয়ার পর আমরা নিবন্ধন দেয়ার কাজ শুরু করব। এক্ষেত্রে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ‘ইউটিউব চ্যানেল ও আইপি টিভি নিয়মিত সংবাদ পরিবেশ করতে পারবে না। এমনিতেই কোনো টেলিভিশন চ্যানেল যখন অনুমতি পায় শুরুতে তারা সংবাদ পরিবেশনের অনুমতি পায় না। সেজন্য তাদের কিছু প্যারামিটার পূরণ করতে হয়, আবার দরখাস্ত করতে হয়। তারপর তারা সংবাদ প্রকাশের অনুমতি পায়। সুতরাং আইপি টিভির ক্ষেত্রেও অন্যান্য সবকিছু করতে পারবে- কিন্তু সংবাদ পরিবেশনের কাজটি তারা আপাতত করতে পারবে না- এটি আমাদের মন্ত্রণালয় নয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত।’

অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধন কবে শেষ হবে- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অনলাইন নিবন্ধনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি অনলাইনকে নিবন্ধনের জন্য অনুমতি প্রদান করেছি। বাকিগুলো আমরা ধীরে ধীরে দেব। যেহেতু কয়েক হাজার অনলাইন, এগুলো সম্পন্ন করতে কয়েক মাস সময় লাগবে। কারণ বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার পরই কিন্তু আমরা দিতে পারছি। এর আগে তো দিতে পারছি না। সে কারণেই একটু সময় লাগছে। বেশিরভাগকে নিবন্ধন দেয়ার কাজ এই বছরের মধ্যে আমরা শেষ করার চেষ্টা করব। অনলাইন নিবন্ধনের কাজ এ বছর শেষ হলেই শেষ হয়ে যাবে তা নয়। কারণ অনলাইন তো ভবিষ্যতেও অনেকগুলো প্রকাশিত হবে।’

‘পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে অনুমতি লাগে, টেলিভিশন চ্যানেল খুলতে হলে লাইসেন্স লাগে। ভবিষ্যতে যখন অনলাইন নিবন্ধনের কাজটি শেষ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব, তখন আমরা ভবিষ্যতে অনলাইন খোলার ক্ষেত্রেও অনুমতির বিষয়টি সংযুক্ত করব’ যোগ করেন মন্ত্রী।

Comments

comments