আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত্রাণ পেতে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিল শত শত হতদরিদ্ররা


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ ,২৮ এপ্রিল, ২০২০ | আপডেট: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ ,২৮ এপ্রিল, ২০২০
ত্রাণ পেতে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিল শত শত হতদরিদ্ররা

এস.এম হিমেল।। জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে ত্রাণ বিতরণের কথা জানতে পেরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ত্রাণের জন্য এসেছিলেন পাংশা পৌর এলাকার প্রায় ৪ শতাধিক হতদরিদ্র মানুষ। ত্রান না পেয়ে পরে তারা খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান।

২৮ এপ্রিল- মঙ্গলবার দুপুরে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। পরে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রফিকুল ইসলাম দরিদ্রদের বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠান।

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২৭শে এপ্রিল-২০২০ সোমবার জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনজুয়ারা খাতুন সুমি। এ সময় ডা. সুমি তার পছন্দের কিছু মানুষকে এ খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন বলে অভিযোগ দরিদ্রদের। এতে অনেক হতদিরদ্র সহায়তা না পেয়ে আজ মঙ্গলবার ত্রাণের দাবিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় জমান।

ত্রাণ নিতে আসা হতদরিদ্ররা জানান- সোমবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. আনজুয়ারা খাতুন গোপনে তার নিজের কয়েকজন লোককে সরকারি ত্রাণ দিয়েছেন। আজকে মঙ্গলবার ত্রাণ বিতরণ করা হবে এমন তথ্য জানতে পেরে আমরা এখানে এসেছি। তবে ত্রাণ না পেলে হাসপাতাল ত্যাগ কবেন না বলে জানান ত্রান নিতে আসা হতদরিদ্ররা।

এ বিষয়ে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনজুয়ারা খাতুন সুমি বলেন- নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাউকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়নি। পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সেই বরাদ্দ থেকে সোমবার ৭৫ জনের মাঝে পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করেছি। কিন্তু অনেকে ভাবছেন হাসপাতাল থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। যে কারণে আজ মঙ্গলবার সকালে ৪ শতাধিক নারী হাসপাতালে ভিড় করেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের বুঝিয়ে ও ত্রাণ দেবার আশ্বাস দিয়ে বাড়ি পাঠান।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার ৭৫ জনের মাঝে পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। সবাই মনে করেছে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। এজন্য হাসপাতালে ভিড় করেছিল তারা। পরে উপস্থিতিদের একটি তালিকা তৈরি করি এবং খাদ্য সহায়তার আশ্বাস দিলে হতদরিদ্র হাসপাতাল ত্যাগ করেন।

Comments

comments