করোনা ঝুকি; দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীতে যাতায়াত নিষিদ্ধ করলো পুলিশ
![প্রতিবেদক](http://www.janatarmail.com/wp-content/uploads/2018/03/icon-1.png)
প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ ,২০ মার্চ, ২০২০ | আপডেট: ২:০৪ অপরাহ্ণ ,২১ মার্চ, ২০২০
![করোনা ঝুকি; দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীতে যাতায়াত নিষিদ্ধ করলো পুলিশ করোনা ঝুকি; দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীতে যাতায়াত নিষিদ্ধ করলো পুলিশ](https://janotarmail.com/wp-content/uploads/2020/03/potita.jpg)
গোয়ালন্দ সংবাদদাতা।। দেশের বৃহত্তর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ২০ দিনের জন্য খরিদ্দার যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় ২০ মার্চ-২০২০ শুক্রবার গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসিকে নির্দেশ নিয়েছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম। সেই সাথে- যৌনকর্মীদের মাথাপিছু ২০ কেজি করে চাউলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার অনেক মানুষ পল্লিতে যাতায়াত করে। কে কোত্থেকে আসছে, কোথায় থাকছে, তা তদারকির ব্যবস্থা না থাকায় পল্লি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে বলে মনে করছেন সেখানকার বাসিন্দা ও চিকিৎসকেরা।
যৌনকর্মীদের সংগঠন নারী ঐক্য সংস্থার সভাপতি যৌনকর্মী ঝুমুর বেগম বলেন- পল্লিতে প্রায় ১ হাজার ৬০০ নিয়মিত যৌনকর্মী, বয়স্ক মাসিসহ প্রায় ২ হাজার বাসিন্দা রয়েছেন। যৌনপল্লিতে প্রবেশের প্রধান ফটক খোলা রেখে বাকি পাঁচটি ফটক পুলিশের সহযোগিতায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যৌনপল্লির সব বাড়িওয়ালিকে আজ শুক্রবার থেকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভাড়া না নিতে বলা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে যৌনপল্লিতে মাইকিং করে সবাইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁদের জন্য কিছু অনুদানের ব্যবস্থা না করলে সবাইকে বিপদে পড়তে হবে।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল জলিল ফকীর বলেন- ‘আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম, যাতায়াতকৃত কখন কার মাধ্যমে পল্লিতে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করা হয়। অবশেষে আজ দুপুর থেকে খদ্দেরদের আসা–যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে সংক্রমণের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পেলেও তাদের জীবন কীভাবে চলবে, তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ সুপারের নির্দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আগামী ২০ দিনের জন্য খদ্দের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আমরা দেড় হাজার বাসিন্দার জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দের আবেদন করেছি। আশা করি আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পেয়ে যাব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সরকারি নীতিমালার মধ্যে থেকে পল্লির বাসিন্দাদের জন্য আপৎকালীন কিছু করা যায় কি না, সেটা সিদ্ধান্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।