আজ : রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকা হবে; মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ণ ,২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ৯:০৭ অপরাহ্ণ ,২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকা হবে; মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

জনতার মেইল ডেস্ক।। জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি।

তিনি বলেন, ‘এই জানুয়ারি মাসেই মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। সে লক্ষ্যে ওয়েবসাইটে রক্ষিত পুরনো তালিকা স্থগিত করা হবে। অমুক্তিযোদ্ধাদের নাম যাচাই-বাছাই করে সেগুলো বাতিল করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপত্তি যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের আইডি কার্ড দেওয়া হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের আধুনিক কার্ড দেওয়া হবে, যাতে কেউ জালিয়াতি করতে না পারে।’

২৮ ডিসেম্বর-১৯ শনিবার দুপুরে যশোর সদরের খাজুরায় মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের আগামী প্রজন্মকে যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও বীরত্বের কাহিনী জানাতে হবে, ঠিক তেমনই হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামসের হত্যা, নারী নির্যাতন, দমনপীড়ন আর তাদের পৈশাচিকতা সম্পর্কেও অবহিত করতে হবে। যাতে করে তারা উভয়পক্ষের কথা জেনে বিচার করতে পারে। না হলে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ আর বীরত্বের কথা ভুলে যাবে।’

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের যেন আর কষ্ট করে ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে না হয়, সেজন্য সরকার তাদের ভাতার টাকা মোবাইলেই পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। তাতে করে মুক্তিযোদ্ধারা বাড়িতে বসেই তাদের প্রাপ্য অর্থ পাবেন।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ বছরই ক্ষমতায় ছিল মোশতাক, জিয়া, এরশাদ, খালেদা গং। আর বঙ্গবন্ধু সাড়ে ৩ বছর এবং তার কন্যা শেখ হাসিনা ১৬ বছর। কিন্তু তারা দেশের জন্যে যে কাজ করেছে, তার চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি কাজ হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’

তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, “জয় বাংলা’ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। আপনারা নিজ নিজ সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভালোভাবে শিক্ষা দিন। তারা যদি ‘জিন্দাবাদের’ স্লোগানে লিপ্ত হয়, তাহলে আমাদের আর ইজ্জত থাকবে না।”

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এমএন মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এসএম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রাজেক আহমেদ প্রমুখ।

Comments

comments