২মাস পর রাজবাড়ী জেলার ক্লিনিক গুলোর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা
![প্রতিবেদক](http://www.janatarmail.com/wp-content/uploads/2018/03/icon-1.png)
প্রকাশিত: ৮:২৭ অপরাহ্ণ ,৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ৮:৩১ অপরাহ্ণ ,৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
![২মাস পর রাজবাড়ী জেলার ক্লিনিক গুলোর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা ২মাস পর রাজবাড়ী জেলার ক্লিনিক গুলোর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা](https://janotarmail.com/wp-content/uploads/2019/12/yuy.jpg)
উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী।। রাজবাড়ী জেলার প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের সাথে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনলাইনে আবেদন করে আগামী দুই মাসের মধ্যে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে নিতে হবে লাইসেন্স। সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আহবান জানানো হয়েছে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে ৫ডিসেম্বর-১৯ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন- সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহফুজুর রহমান, বিএমএ রাজবাড়ী শাখার সাধারণ সম্পাদক এ,এফ,এম শফীউদ্দিন পাতা এবং বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা প্রমূখ।
সভায় জানানো হয়, অনলাইনে রেজিষ্টেশন করেছে জেলার ৫৩টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং কাগজপত্র প্রস্তুত করে আবেদন করেছে মাত্র ১৫টি প্রতিষ্ঠান। তবে এখনো কাউকে লাইসেন্স দেয়া হয়নি।
সভায়, বিএমএ রাজবাড়ী শাখার সাধারণ সম্পাদক এ,এফ,এম শফীউদ্দিন পাতা বলেন- জেলার বেশিরভাগ ক্লিনিক ও ডাইগোনেস্টিক সেন্টার গুলোতে স্থায়ী কোন চিকিৎসক নেই। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার রিপোর্টে চিকিৎসকদের স্বাক্ষর করার কথা থাকলেও তাতে স্বাক্ষর করেন কথিত টেকনিশিয়ানরা। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহিঃভুত। চিকিৎসক ছাড়া ক্লিনিক ও ডাইগোনেস্টিক সেন্টার পরিচালনা করা যাবেনা। তিনি আরো বলেন- পরীক্ষা গুলো যদি কোন চিকিৎসক করেন, তাহলে তা নিভূল হবে। আর কথিত টেকনিশিয়ানরা পরীক্ষা করলে সেটা উল্টা-পাল্টা হয়। চিকিৎসক যদি পরীক্ষার নির্ভুল চিত্র রিপোর্টে না পান তাহলে তিনি রোগির সঠিক চিকিৎসা দিতে করবে কিভাবে? চিকিৎসক দ্বারাই পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে হবে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন- সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লিনিক ও ডাইগোনেস্টিক সেন্টারের মালিকদের যথাযথ কাগজপত্র সহ অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সেই সাথে নিতে হবে লাইসেন্স। সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে নিয়ম মেনে ক্লিনিক ও ডাইগোনেস্টিক সেন্টারের মালিকদের লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। এই সময়ের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ী জেলা শহরসহ পাংশা, বালিয়াকান্দি, গোয়ালন্দ ও কালুখালী উপজেলা শহর গুলোতে যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠেছে ক্লিনিক ও ডাইগোনেস্টিক সেন্টার। তবে এ সব ক্লিনিক ও ডাইগোনেস্টিক সেন্টার গুলোর নেই কোন লাইসেন্স। চলছে সে গুলো নিজ ইচ্ছা মত। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার বলে ভুক্তেভুগী জনসাধারন মনে করেন।