আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝড়ের কবলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নদীর চরে আটকা পরেছিল ৪ ফেরি


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ ,১ এপ্রিল, ২০১৯ | আপডেট: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ ,১ এপ্রিল, ২০১৯
ঝড়ের কবলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নদীর চরে আটকা পরেছিল ৪ ফেরি

স্টাফ রিপোর্টার-উজ্জল চক্রবর্ত্তী।। কালবৈশাখীর তীব্র ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এর প্রভাব পড়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের উপর। ঝড়ের কবলে পড়ে ৩১শে মার্চ-১৯ রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬.টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা ফেরি ও লঞ্চ চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকে। এ সময় দমকা হাওয়া ও প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে ৪টি ফেরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুরের ডুবোচরে গিয়ে আটকে পড়ে। আটকে পড়া ফেরির শতশত যাত্রী চরম আতঙ্কীত হয়ে পরেন, পাশাপাশি চড়ম দুর্ভোগের শিকার হন।

তীব্র ঝড়ে ঢেউয়ের আঘাতে দৌলতদিয়ার ৬নং ফেরিঘাটের পন্টুন ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ওই ঘাটটি বন্ধ হয়ে আছে। একটি ঘাট বন্ধ, ১ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ও রুটের ৪টি ফেরি দীর্ঘ সময় ডুবোচরে আটকে থাকায় উভয় পাড়ে দীর্ঘ যানজটে সহস্রাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে। আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দুরপাল্লার কয়েকশ নৈশকোচ প্রায় সারারাত উভয় পারে আটকে থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত নদী পার হয়।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫.টার দিকে তীব্র বেগে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে পদ্মা-যমুনা নদী উত্তাল হয়ে ওঠে। এ সময় বেশির ভাগ ফেরি যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই করে ঘাটেই নোঙর করে থাকে। কিন্তু এর আগেই ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রোরো ফেরি খানজাহান আলী, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন, আমানত শাহ ও ইউটিলিটি ফেরি মাধবীলতা নদীর মাঝে এসে বিপাকে পড়ে। ঝড়ের তীব্র বাতাস ও ঢেউয়ের আঘাতে চালকেরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় ফেরিতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে কান্না-কাটি শুরু হয়ে যায়। তবে চালকদের দক্ষতায় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। ফেরি খানজাহান আলী পাটুরিয়া ঘাটের প্রায় ১ কিমি ভাটিতে এবং অপর ৩টি ফেরি দৌলতদিয়া ঘাটের ভাটিতে ডবোচরে গিয়ে আটকে পড়ে।
উদ্ধারকারী টাগ জাহাজ ও শক্তিশালী রোরো ফেরি গোলাম মওলার সহযোগিতায় আটকে পড়া ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনকে রাত সাড়ে ৯টায়, মাধবীলতাকে রাত ১১টায়, আমানত শাহকে রাত ২.টায় ও খানজাহান আলীকে সোমবার সকাল ৮.টায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
এদিকে প্রাকৃতিক বৈরিতার পাশাপাশি রুটে তীব্র ফেরি সংকট দেখা দিয়েছে। সোমবার চলছিল মাত্র ১৪টি ফেরি। বিকল হয়ে আছে রোরো ফেরি আমানত শাহ, শাহ মখদুম ও ইউটিলিটি ফেরি মাধবীলতা। চলমান ফেরিগুলো দিয়ে উভয় পারে আটকে থাকা শতশত যানবাহন পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। ফলে আটকে থাকা যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
১লা এপ্রিল-১৯ সোমবার সকালে সরেজমিনে যেয়ে জানা যায়, রোববার সারারাত দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় মহাসড়কে প্রায় ৬কিমি জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। জানাযায়, পাটুরিয়া ঘাটেও একই অবস্থা বিরাজমান।
বিআইডব্লিউটিসি’র অফিসের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, মানুষের দুর্ভোগ কমাতে অপচনশীল মালবাহী যানবাহনগুলোকে বন্ধ রেখে যাত্রীবাহী ও অন্যান্য জরুরী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে নদী পার করা হচ্ছে।

Comments

comments