গোয়ালন্দে স্কুলের দুই ভবনের মাঝে পাঁকা সড়ক; জীবনের ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
![প্রতিবেদক](http://www.janatarmail.com/wp-content/uploads/2018/03/icon-1.png)
প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ণ ,২৬ জানুয়ারি, ২০১৯ | আপডেট: ৩:২৮ অপরাহ্ণ ,২৭ জানুয়ারি, ২০১৯
![গোয়ালন্দে স্কুলের দুই ভবনের মাঝে পাঁকা সড়ক; জীবনের ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা গোয়ালন্দে স্কুলের দুই ভবনের মাঝে পাঁকা সড়ক; জীবনের ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা](https://janotarmail.com/wp-content/uploads/2019/01/26-1-19-school-goalond.jpg)
গোয়ালন্দ সংবাদদাতা-বাবু ।। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ১৭নং হাউলি কেউটিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই ভবনের মাঝ দিয়ে পাঁকা সড়ক। সড়ক দিয়ে সার্বক্ষনিক রিক্সা, ভ্যান, অটোরিক্সা, নসিমন-করিমন, ইট-বালুভর্তি ট্রাক ছোট-বড় যানবাহন সার্বক্ষনিক চলাচল করে।দুই ভবনের মাঝ খানের সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জীবন।
বিদ্যালয়ের অফিস সূত্রে জানাযায়, উপজেলাশহর থেকে ৪/৫ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত ১৭নং হাউলি কেউটিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৬৩ সালে। স্কুলটি পূর্নঃনির্মান হয় ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে।স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে চললেও ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। এই স্কুলে রয়েছে দু’তলা একটি ভবন ও একটি টিনসেট ভবন। স্কুলে প্রাক শিশু শ্রেনীতে ৩১, প্রথম শ্রেণীতে ৩২, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৩১, তৃতীয় শ্রেণীতে ৩১, চতুর্থ শ্রেণীতে ৩১ ও পঞ্চম শ্রেণীতে ৩৯ জনসহ মোট ১৯৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলের ৫জন সহকারী শিক্ষকর য়েছে। তবে, প্রধান শিক্ষক পদ শুন্য রয়েছে। দুই ভবনে নিয়মিত চলে পাঠদান। কিন্ত ভবন দুইটির মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পাঁকাসড়ক। যে সড়ক দিয়ে রিক্সা, ভ্যান, অটোরিক্সা, নসিমন-করিমন, ইট-বালুভর্তি ট্রাক সার্বক্ষনিক চলাচল করে। এই সড়কে দিন দিন ব্যস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।ফলে ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্কুলের সামনে এই সড়কে নিয়মিত ঘটে দুর্ঘটনা। স্কুলক্যাম্পাস দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে স্বাভাবিকভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা সম্ভব হয় না। শিক্ষার্থীরা খেলা-ধুলা করতে পারেনা।
স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের দুইটি ভবনের মাঝ দিয়ে পাঁকারাস্তা। যে কারণে আমরা চলাচল করতে পারিনা। জাতীয় সংগীত গাইতে সমস্যা হয়। খেলা-ধুলা করা যায়না। এই রাস্তার কারণে আমাদের অনেক ভয় করে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবিদা সুলতানা বলেন, স্কুলক্যাম্পাসের মাঝ দিয়ে রাস্তা। এই রাস্তা আমাদের জন্যেও যেমন শিক্ষার্থীদের জন্যে এবং সবারজন্যে একই সমস্যা। মাঝ দিয়ে রাস্তা থাকার কারণে আমাদের প্রতিদিনের কাজে সমস্যা হচ্ছে। আমার জানামতে এই রকম স্কুলের মাঠ দিয়ে রাস্তা দেখি নাই। এখানে আছে।তাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি সরিয়ে নেওয়া হোক।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজু শিকদার বলেন, এই সড়ক স্কুলের প্রত্যেকটি শিশুর ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। আমরা সব সময় চিন্তায় থাকি কোন সময় যেন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। কারণ প্রতিদিন এই রাস্তার ব্যস্ততা বাড়ছে। এতে ঝুঁকি আরো বেঁড়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুহাঃ গোলাম ইয়াছিন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে সারাদিন ভারী ট্রাক, বালু, ইট ভর্তি ট্রাক, নসিমন-করিমন, রিক্সাভ্যান, মটরসাইকেল, চলাচল করে। গাড়ীগুলো অতিরিক্ত স্পীডে চলার কারণে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গোয়ালন্দ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, দ্যিালয়ের দুই ভবনের মাঝ দিয়ে পাঁকা সড়ক থাকায় সকলে রজন্য ঝুঁকি। জরুরীভাবে এব্যাপারে একটি সমাধান হওয়া উচিত। বিদ্যালয়ের দুই ভবনের মাঝদিয়ে পাঁকা সড়ক থাকায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম স্কুলটি ঝুঁকির মধ্যে আছে স্বীকার করে বলেন, আমি এর আগেএকাধিকবার সেখানে গিয়েছি। স্কুলের এই সমস্যা থেকে কিভাবে সমাধান করা যায় সেটা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যাতে স্কুলের ছেলে-মেয়েরা সুষ্ঠুভাবে পড়া-লেখা করতে পারে।