আজ : শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বানীবহ ইউপি সদস্যর ছেলে মুরাদের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে মিমের অনশন


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১:১৭ পূর্বাহ্ণ ,২৯ জুলাই, ২০১৮ | আপডেট: ৩:১৮ পূর্বাহ্ণ ,২৯ জুলাই, ২০১৮
বানীবহ ইউপি সদস্যর ছেলে মুরাদের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে মিমের অনশন

নিজস্ব প্রতিনিধি।। রাজবাড়ীর বানীবহ ইউপি মহিলা সদস্য আকলিমা বেগমের ছেলে প্রেমিক পুলিশ কনষ্টেবল মুরাদের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৪ দিন ধরে অনশন করে চলেছে ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী প্রেমিকা মিম আক্তার।

প্রেমিক হচ্ছে, রাজবাড়ী জেলা সদরের বানীবহ ইউনিয়ন মহিষ বাথান মিয়াপাড়া গ্রামের মোঃ আমজাদ মোল্লার ও বানীবহ ইউপি’র সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আকলিমা বেগমের ছেলে মোঃ মুরাদ মোল্লা (পুলিশ সদস্য)।এবং
প্রেমিকার পরিচয়, ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী উপজেলার আলীপুর গ্রামের প্রবাসী রাজু খাঁন ও মৃত লিপি বেগমের মেয়ে মিম আক্তার।

২৮শে জুলাই-১৮ শনিবার বিকেলে মহিষ বাথান মিয়াপাড়া গ্রামের প্রেমিক মুরাদ মোল্লার বড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার থেকে একটানা প্রেমিক মুরাদ মোল্লার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে মিম আক্তার অনশন করছেন। আরো দেখা যায় বাড়ির মানুষ বাড়িতে নেই, ঘড়ের দড়জায় তালা ঝুলছে। কিন্তু গ্রামের অনেক মানুষ সেখানে ভির করে আছে।

মিম আক্তার জনতার মেইল.কমকে বলেন, প্রায় দুই বছর আগে ফরিদপুর থেকে গোয়ালন্দ আসার পথে বাসের মধ্যে মুরাদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়, তারপর থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুরাদ আমাকে বিয়ের কথা বলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। কিন্তু বিয়ের কথা বললেই সে এড়িয়ে যায়।
এরপর, গত ২৩/২৪ দিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ের দাবিতে আমি মুরাদের বাড়িতে উঠি। মুরাদের আম্মা আকলিমা বেগম তারে ছেলের বৌ হিসাবে আমাকে নাকফুল পড়ায়, আর বলে ছেলে বাড়িতে আসলে পরে বিয়ে পরাবো। এভাবে ১২ দিন পর্যন্ত আমাকে তাদের বাড়িতে রাখে। ১২ দিন পর হঠাৎ একদিন পুলিশ (এসআই শহিদুল ইসলাম) এসে আমাকে রাজবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। এরপর এসপি মেমের কাছে নিয়ে গেলে তাকে বিস্তারিত জানাই।আবার থানায় নিয়ে আসে এবং বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার ফুপাতো বড় বোন আসমাকে ডেকে তার হাতে তুলে দেয়, তার সাথে বাড়িতে চলে যাই।এর ৪/৫ দিন পর থানায় শালিস হয় কিন্তু মিমাংসা না হওয়ায় আবার বাড়িতে যাই। এর ৩/৪ দিন পর গত ২৬/৭/১৮ তারিখে আবার থানায় শালিস হয়, সেই শালিসে বিয়ের পরিবর্তে তারা আমাকে সারে ৪লাখ টাকা দিয়ে বিদায় করতে চায়। আমি মেনে না নেওয়ায় সেদিনও কোন সুরাহা হয়নি।আবার এসপি মেমের সাথে দেখা করে সব জানাই। এসপি মেম আমাকে মামলা করার পরামর্শ দেয়। মুরাদকে বিয়ে করে আমার ঘড়-সংসার করার ইচ্ছা আছে বিধায় আমি কোন মামলা করিনি।পুনরায় আসমা আপার সাথে আপার বাড়িতে যাই।

এরপর, গত ২৭/৬/১৮ তারিখে বিয়ের দাবিতে পুনরায় আমি মুরাদদের বাড়িতে উঠি। আমার কথা হলো, আমার সাথে সম্পর্ক করেছে, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করেছে, এখন হয় মুরাদ আমাকে বিয়ে করবে না হয় আমার মরা মুখ দেখবে, এ কথা বলেই মিম ফুঁপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে থাকেন। মিম আক্তার এসব কথা বলার সময় গ্রামের অনেক লোক এবং তার বোন আসমা বেগমও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রেমিক মুরাদের মা আকলিমা বেগমকে বাড়িতে ও আশ-পাশে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফনে কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মুরাদের বাবা আমজাদ মোল্লার সাথে তার বাড়িতে কথা হলে তিনি বলেন, এই মেয়ে এর আগেও এসেছিল, আবারো এসেছে। মুরাদ বিয়ে করবে কি করবে না সেটা আমি জানিনা। মুরাদ জানে আর মুরাদের মা জানে।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মুরাদ মোল্লার মুঠোফনে যোগাযোগ করলে, অপরপ্রান্ত থেকে বলে মুরাদ নেই, পরে ফোন করেন, পূনরায় যোগা-যোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে গ্রামবাসি জানায়, এই সম্পর্ক দির্ঘদিনের, এ কথা আমরা সবাই জানি।গ্রামবাসির একটাই দাবি মিম আক্তারকে মুরাদের বিয়ে করতে হবে।

Comments

comments