আজ : রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে রাজবাড়ী জেলায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ ,৩১ আগস্ট, ২০২২ | আপডেট: ৩:২৩ পূর্বাহ্ণ ,১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে রাজবাড়ী জেলায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু

নিজস্ব প্রতিনিধি।। খাদ্য শস্যের বাজার মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধে ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে- আগামীকাল ১লা সেপ্টেম্বর হতে রাজবাড়ী জেলায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় শুরু হবে। ক্রয় করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ওএমএস/টিসিবি/খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে খোলা বাজারে এ চাল বিক্রয় করা হবে।

শুধুমাত্র কার্ডধারীরা প্রতিমাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল ক্রয় করতে পারবেন। এ ছাড়া ডিএডিএস-এর আওতায় খোলা বাজার থেকে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চাল ক্রয় করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

রাজবাড়ী জেলায় ওএমএস / টিসিবি / খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে চাল বিক্রয় কার্যক্রম উপলক্ষ্যে- বুধবার (৩১ আগষ্ট-২২) দুপুর ১.টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালযয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংএ এই তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাহাবুর রহমান শেখের সভাপতিত্বে প্রেস ব্রিফিংএ জেলা প্রশাসক বলেন- বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ০১ সেপ্টেম্বর-২২ তারিখ হতে ৩০শে নভেম্বর-২২ তারিখ পর্যন্ত ০৩ মাস ওএমএস, টিসিবি এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে চাল বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ওএমএস কর্মসূচিতে একজন ভোক্তা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে এবং টিসিবি কর্মসূচিতে একজন ভোক্তা পাক্ষিক ভিত্তিতে ৫ কেজি করে মাসে মোট ১০ (দশ) কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩০/- (ত্রিশ) টাকা।

রাজবাড়ী সদর পৌরসভায় ১৯ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ (দশ) মে.টন, পাংশা পৌরসভায় ৪ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৮ (আট) মে.টন, গোয়ালন্দ পৌরসভায় ৪ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৮ (আট) মে.টন, কালুখালী উপজেলা সদরে ২ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৪ (চার) মে.টন এবং বালিয়াকান্দি উপজেলা সদরে ২ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৪ (চার) মে.টন চাল (জেলায় মোট ৩১ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩৪ মে.টন চাল) বিক্রয় করা হবে। এ কার্যক্রম শুক্র ও শনিবার ব্যতিরেকে সপ্তাহে ৫ দিন চলবে।

উক্ত কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রতিটি পৌরসভা এবং উপজেলায় মাইকিংসহ প্রচার প্রচারণা করা হয়েছে।

অপরদিকে, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে শুধুমাত্র কার্ডধারীরা প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল ১৫/- (পনের) টাকা দরে ক্রয় করতে পারবেন।

এ কর্মসূচির কার্যক্রম ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়েছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২৯ জন ডিলারের মাধ্যমে ১২,৬০৩ জন কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭৮.090 মে.টন, পাংশা উপজেলায় ৩৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ১৭,০১০ জন কার্ডধারীর মধ্যে ৫১০.৩০০ মে. টন, গোয়ালন্দ উপজেলায় ১২ জন ডিলারের মাধ্যমে ৬,০৯১ জন কার্ডধারীর মধ্যে ১৮২.৭৩০ মে. টন, কালুখালী উপজেলায় ২৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ১২,৮৩৬ জন কার্ডধারীর মধ্যে ৩৮৫.০৮০ মে. টন এবং বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ৭,৯৩৭ জন কার্ডধারীর মধ্যে ২৩৮.১১০ মে.টন চাল (জেলায় মোট ১১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ৫৬,৪৭৭ জন কার্ডধারীর মধ্যে ১৬৯৪,৩১০ মে.টন চাল) বিক্রয় করা হবে।

তিনি বলেন- কোন ডিলার বা ট্যাগ অফিসার যদি সরকারের এই ভালো কর্মসূচিতে দুর্নীতি করে তবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ব্যাপারে সংবাদকর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করেন ও সেই সাথে সরকারের বৃহৎ এ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মার্জিয়া সুলতানা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম শাহনেওয়াজ, সহকারী কমিশনার মো. সাইদুর রহমানসহ জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মন্ত্রনালয়ের পরিপত্রে বলা হয়-টিসিবির কার্ডধারীকে চাল দেয়ার পর ওএমএস ডিলাররা টিসিবির কার্ডের পেছনে নমুনা সিল/পাঞ্চিং মেশিন দিয়ে কার্ডের ওপরে প্রতিবারের জন্য একটি ছিদ্র করে দেবেন। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন ডিলারের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক তদারকি কর্মকর্তা/ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করতে হবে। তদারকি কর্মকর্তা/ট্যাগ অফিসার বিক্রয়স্থলে দিনের বিক্রয়যোগ্য খাদ্যশস্যের বস্তা ও পরিমাণ সম্পর্কে সন্তুষ্ট হয়ে বিক্রয় আদেশ দেবেন।

Comments

comments