শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকীতে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের বাণী
প্রকাশিত: ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ ,৫ আগস্ট, ২০২২ | আপডেট: ১:০৫ পূর্বাহ্ণ ,৬ আগস্ট, ২০২২
আজ ৫ই আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের এ দিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের বড় ছেলে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালরাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও প্রগতিবিরোধী বর্বর ঘাতকদের হাতে পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হন শেখ কামাল। অকালেই শাহাদতবরণ করা এ বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্মময় জীবনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে জাতির স্মৃতিপটে রয়েছেন চির অক্ষয় হয়ে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর এডিসির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন সৃজনশীল কর্মবীর, গণমানুষের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থেকে তাদের সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে জীবন কাটানোর প্রতি এক তীব্র আকর্ষণ ছিল তাঁর। তাই মুক্তিযুদ্ধ শেষে তিনি সৈনিক জীবন ছেড়ে সংগঠনের কাজে ব্রতী হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। স্বাধীনতা উত্তরকালে জনপ্রিয় ক্লাব আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা এবং স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী নামে সঙ্গীত সংগঠনসহ অসংখ্য উদ্যোগের সাথে যুক্ত শেখ কামাল ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে দেশের যুবসমাজকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। আবাহনী ক্রীড়াচক্রের মাধ্যমে তিনি দেশের ক্রীড়াজগতে আধুনিক এক শৈল্পিক ধারার সূচনা করেন, যা তাঁর সাংগঠনিক সক্ষমতার উজ্জ্বল নিদর্শন। তিনিসাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন এবং বাস্কেটবল খেলায় ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। একই সাথে তিনি খেলতেন ক্রিকেট। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি অহরহ ঝাঁপিয়ে পড়তেন দুর্যোগ কবলিত এলাকার মানুষের জন্যে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন গণমুখী ইতিবাচক রাজনীতির আদর্শে উদ্বুদ্ধ মানুষ। তিনি বাংলাদেশের মানুষের উত্থানের উপায় খুঁজে ফিরেছেন তার পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে। ক্রীড়া আর সংস্কৃতিকে ভালোবেসে যাওয়া এ মানুষটি দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করার পর্যায়ে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। তাঁর জন্মদিনে আমরা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
জয় বাংলা।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
(আবু কায়সার খান)
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী