আজ : রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৯ জুন সংসদে দৌলতদিয়া-আরিচা নৌরুটে পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর দাবি জানাবেন- এমপি কাজী কেরামত


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ ,১৩ জুন, ২০২২ | আপডেট: ৩:৩০ পূর্বাহ্ণ ,১৪ জুন, ২০২২
১৯ জুন সংসদে দৌলতদিয়া-আরিচা নৌরুটে পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর দাবি জানাবেন- এমপি কাজী কেরামত

স্টাফ রিপোর্টার।। দৌলতদিয়া-আরিচা দিয়েই বঙ্গবন্ধু ঢাকা-গোপালগঞ্জ যাতায়াত করতেন।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এখান দিয়ে সেতু করার, সে কারনে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন পূরনে এ নৌরুট দিয়ে পদ্মা সেতু হওয়া দরকার। আগামী ১৯ জুন সংসদে আমার বক্তব্য আছে, সেখানে আমি জোড়ালোভাবে তুলে ধরবো, যাতে নির্বাচনের আগেই আমাদের দৌলতদিয়া-আরিচা নৌরুটে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)’র আয়োজনে আজ সোমবার (১৩ জুন-২২) বিকেল ৫ টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সরকারী ৫০℅ ভর্তুকী মূল্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১০ জন কৃষকের মাঝে পাওয়ার টিলার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্জিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী আরও বলেন- সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আমাদের সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। আপনারা জানেন আগামি ২৫ শে জুন উদ্বোধন হবে। আমরা সকলেই জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবো। আর আমাদের এদিকেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এলাকায় যাতে সেতু হয়, সেটা আমি নেত্রীর কাছে বলবো, এই দৌলতদিয়া-আরিচা দিয়েই বঙ্গবন্ধু ঢাকা-গোপালগঞ্জ যাতায়াত করতেন। সে কারনে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন পূরনে এ রুট দিয়ে পদ্মা সেতু হওয়া দরকার। আগামী ১৯ তারিখে সংসদে আমার বক্তব্য আছে, সেখানে আমি জোড়ালোভাবে তুলে ধরবো যাতে নির্বাচনের আগেই আমাদের পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে।

উপস্থিত কৃষকদের হাতে পাওয়ার টিলার তুলে দেন- অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজবাড়ী-১ আসনের ৫ বারের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।এ অনুষ্ঠানে কৃষক ভাইদের উদ্দেশ্যে এমপি বলেন- কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদের জন্য আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চিন্তা চেতনায় কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ করা হচ্ছে। আগে যারা গরু-লাঙল দিয়ে চাষ করত আজকে তারা পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কোন বিকল্প নাই। এ জন্য সরকারী ভর্তুকি মূল্যে প্রান্তিক কৃষকদের উন্নতমানের কৃষি যন্ত্র প্রদান করছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কতৃক আমরা এর আগে ১২ টি পাওয়ার টিলার দিয়েছি, পর্যায়ক্রমে আজকে দেওয়া হচ্ছে ১০ টা। সেই জন্য আপনারা যারা এই পাওয়ার টিলার পাচ্ছেন আপনারা তারা এটাকে যথাযথভাবে ব্যবহার করবেন। আমাদের উৎপাদন যাতে বাড়ে সেদিকে চেষ্টা করবেন, তাহলে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে, শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে।

এ সময়, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) উম্মে সালমা, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন সেখ, সদর উপজেলা পিআইও অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিজয় কুমার প্রামানিক, উপকারভোগী কৃষকগণ, আওয়ামী লীগের নেত- কর্মীবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ সহ সাধারন মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

comments