আজ : শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অগ্নিকান্ডে রাজবাড়ীর কোলারহাটে ১১দোকান ভস্মীভূত!


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৭:৪২ অপরাহ্ণ ,১ জুন, ২০২২ | আপডেট: ১২:৫০ পূর্বাহ্ণ ,২ জুন, ২০২২
অগ্নিকান্ডে রাজবাড়ীর কোলারহাটে ১১দোকান ভস্মীভূত!

স্টাফ রিপোর্টার।। রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের কোলার হাট বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দুলাল গাজীর মার্কেটের ১১টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে।১লা জুন বুধবার দুপুরে অগ্নীকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়দের ধারণা, বৈদ্যতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর দেড়টার দিকে মার্কেটের করিম খানের লেপ-তোষকের দোকানে কাজ করার সময় লাঠির বাড়িতে বাল্ব ভেঙে তুলায় আগুন ধরে, সেই আগুন ছড়িয়ে পরলে পাশের দোকান রাসেল হার্ডওয়ারের গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়ে আগুনের গতি বৃদ্ধি পায় ও আশপাশে ছড়িয়ে পরে মার্কেটের অন্যান্য দোকান ভস্মীভূত হয়। দুলাল গাজীর মার্কেটে মোট ১৬ টা দোকান ছিল, তার মধ্যে ৮টি পুড়েছে, আর পাশের মার্কেটে পুড়েছে ৩ টা দোকান। করিম খানের লেপতোশকের দোকান, রাসেল হার্ডোয়ার , মিষ্টির দোকান আলম ষ্টোর, ইয়াহিয়া খানের চালের দোকানসহ মোট ১১টি দোকান পুড়ে গেছে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টারও বেশী সময় পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা অনেক দেরি করে এসেছে, তাদের আসতে দেরি হওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে, আগে আসলে হয়তো কিছুটা কম ক্ষতি হতো।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারি পরিচালক আঃ রহমান বলেন, দুপুর ২টা পাচ মিনিটে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ৩টা ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। ৪টা ৫০ মিনিটে আগুন সম্মপুর্ন নিয়ন্ত্রণে আসে। আমাদের ফায়ার সার্ভিসের গোয়ালন্দ, বালিয়াকান্দি ও রাজবাড়ী’র ৩টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ঘটনাস্থলে যেতে ১৫ কিলোমিটারের পথ ২০মিনিট সময় লেগেছে। রাস্তা খারাপ ও পানি রেডি করা এবং সরু রাস্তার কারনে একটু দেরি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হতে পারে। আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

বসন্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, কোলারহাট বাজার এলাকার ১১ দোকান পুড়ে গেছে এবং ১৫টি’র বেশি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৫কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মো. বাবুল তালুকদার বলেন- আমার এই মুদি দোকানের উপরেই সংসার নির্ভর, আমার ৩ ছেলে, বড় ছেলে রাকিক তালুদারের বয়স ২১ বছর, প্রায় ৪ বছর পূর্বে বিমান বাহিনীতে চান্স পেয়েছিল, ইজি বাইকে চড়ে কলেজে যাওয়ায় সময় এক্সিডেন্ট করে তার পা ভেঙে যাওয়ায় আর চাকরি হয়নি। এর পূর্বে আমি স্ট্রক হয়ে অনেকদিন অসুস্থ ছিলাম, এখনে পুরোপুরি সুস্থ না। আজ আবার আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেল। তিন বলেন, প্রায় ১৫/১৬ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে, এছাড়াও বিকাশের এজেন্ট ছিল, দোকানের বেঁচা-কেনার ক্যাশ ও বিকাশের ক্যাশ মিলে প্রায় নগদ ২ লাখ টাকা ছিল। এখন আমার আর কিছু রইলোনা, কিভাবে সংসার চালাবো ? এই বলে কান্নায় ভেঙে পরেন।

Comments

comments