কোর্টের রায়ে কমিশনার জমি বুঝিয়ে দিলেও দখলে যেতে পারেননি জমির মালিক।
প্রকাশিত: ৭:১৩ অপরাহ্ণ ,২২ এপ্রিল, ২০২২ | আপডেট: ১১:২৪ অপরাহ্ণ ,২২ এপ্রিল, ২০২২
ফরিদপুর প্রতিনিধি।। ফরিদপুর সদর থানার পৌরসভার ২৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল জব্বার মল্লিক পিতা মৃতঃ হোসেন মল্লিক,মহল্লা বিলমামুদপুর কোর্টের রায়ে কমিশনার জমি বুঝিয়ে দিলেও দখলে যেতে পারেননি।
তার অভিযোগ, আমি নিরিহ এবং অসহায় দিনমজুর মানুষ।আমার স্বজনরাও শান্তি প্রিয় এবং সহজসরল এই সরলতাকে পুঁজি করে আমার পরশী একটি উকিল গংরা আমার সম্পওির উপর দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমার বিরোধ নিয়ে আমার পরিবারকে জ্বলাতাপ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায়,আমার পরশি রুবিনা বেগম সহ তিনজন উকিল সাহেবদের আমার একটি মুল্যবান জমির উপর তাদের নজর পড়ে। এবং এ নিয়ে কোর্টে মামলা থানায় মামলা ও জিডি এন্টি হয়। এতে আমার নিরিহ সন্তানও আসামী হয়। রুবিনা বেগম গংরা প্রভাবশালী অর্থবিওের মালিক এবং তিনি তিনজন আইনজীবী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং কোর্টে মামলাও উকিল সাহেবরাই পরিচালনা করনে ফলে আমি সব দিকেই অসহায় হয়ে পড়ছি। পাশা-পাশি তাদের হাতে আমিসহ আমার গোটা পরিবার জিম্বি। জব্বার মল্লিক আরো অভিযোগ করেন, বিলমামুদপুর সাবেক মৌজা নং ১০৭ আরএস খতিয়ান নং ৮৪০ এস এ ৮৮৯ বিএস ৬০৮৫ এর ১২২০ খতিয়ান এবং ৬৩২৬ দাগের জমির সাড়ে ১১ শতক জমির ক্রয়সুত্রে রেকডীয় জমির মালিক।
এই জমি নিয়ে বিবাদের কারন কি? তিনি সাংবাদিকদের বললেন, আমার পরশী রুবিনা গংদের সাথে ৬৩২৬ নং দাগের চৌহর্দ্দী এবং অন্যের জমির মধ্যে রুবিনার ৩/৪ স্বজনদের দাফন করানোয়ে সেই জমি ভিন্ন দাগের এবং পারিবারিক গোরস্থান দেখানোয়ে ভীষন বিরোধ হয়।১৩ শতক জমির বিরোধ কোর্ট থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। কেচ মামলা আমরা পিতা পুত্র আসামি হই। তিনি আরো বলেন, বিএস খতিয়ানের ১০৭ নং মৌজার ১৫১ নং দাগে টাকা দাখিল দিয়ে,১৩ শতক জমি কিনেন আনছার উদ্দীন মোল্যা, যাহার বিএস রেকর্ড আমার নামে। তিনি ছোট ছোট দাগ করে এরকম ২০ শতক জমির মালিক হন। আসলে জমি ১৩ শতক। এই ২০ শতক জমির মধ্যে,৬৩২০ নং হাল দাগের মধ্যে ৪ শতকে মসজিদ, যাহার মালিক আনছার উদ্দীন মোল্যা, ৬৩১৯ দাগের ১১ জমি পুকুরের, পুকুরের পশ্চিম পাশে ৬৩১৮ নং দাগের ৫ শতক জায়গা রেকর্ড করান আনছার ঊদ্দীন মোল্যা তথা বাদীনি রুবিনা বেগমের শশুর, এবং খরিদ করেন ১৩ শতক। কিন্ত তিনি রেকর্ড করান ২০ শতক জমি। এই বিষয় সরেজমিন পরিদর্শনে গনমাধ্যমের সাথে , কথা হয় এলাকার জামাল উদ্দীন মোল্যা,মেছের উদ্দীন,খাদিজা বেগমের সাথে তারা জানান, ৬৮৭, ৬০৮৬ এবং ৬০৮৪ দাগের মাঝখানে যে দাগটি রয়েছে সেই দাগটি বাদী পক্ষের কিন্তু সেই দাগটি মুছে কোর্ট ভুল তথ্য দিয়ে মামলা করে নিরিহ জব্বার মল্লিকদের হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না।
তারা আরো বলেন, এই পরিবারবারটির উপর এমন কেন জুলুম অত্যাচার নির্যাতন মিথ্যা মামলা জিডি যা কিছু করা হয়েছে সবই ক্ষমতা আর অর্থের গরম। জব্বার সাংবাদিকদের বলেন, ২০০০ হাজার কোটি পাচার মামলার আসামি বরকত- রুবেল অবৈধ দাপট ও ক্ষমতা বলে আগে এলাকার লোকদের উপরই এই গংরাই জুলুম করছে এখন আবারও শুরু করছেন। এই বিষয় কথা বলার জন্য রুবিনা গংদের বাড়ীতে গেলে কথা বলার চেষ্টা করলে কেউ ঘর থেকে বের হয়নি।