আজ : শুক্রবার, ৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদী ভাঙন রোধে কাজে আসছে না জিওটিউব ব্যাগ কোটি কোটি টাকা জলে।


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ ,২১ আগস্ট, ২০২১ | আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ ,২২ আগস্ট, ২০২১
নদী ভাঙন রোধে কাজে আসছে না জিওটিউব ব্যাগ কোটি কোটি টাকা জলে।

বিধান কুমার।। পদ্মার ভাঙনে কাজে আসছে না জিওটিউব ব্যাগ জলে যেতে বসেছে কোটী কোটি টাকা।রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মার পানির অব্যাহত বৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে তীব্র স্রোত অব্যাহত থাকায় কোন কাজেই আসছে না জিওব্যাগ ও জিওটিউব। ফলে হুমকির মধ্যে আছে লঞ্চঘাট, লঞ্চঘাট সংলগ্ন মজিদ শেখের পাড়া, পাঁচ ও সাত নম্বর ফেরিঘাট। অন্যদিকে রাজবাড়ীর শহর রক্ষা বাধের দেড়শ মিটার ভেঙ্গে গেছে। ৩৭৬ কোটি ২৮ লক্ষ ১২ হাজার টাকা ব্যায়ে শহর রক্ষা বাধ প্রকল্পের নির্মিত সিসি ব্লকের অধিকাংশ পানিতে ডুবে গেছে। এতে দেখা গেছে সরকারের প্রায় কয়েক কোটি টাকা জলে চলে গেছে। নদীর গতি পরিবর্তন ও পানি বৃদ্ধির কারনে ফের ভাঙ্গনের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড । আজ শনিবার (২১ আগষ্ট) গোয়ালন্দ দৌলতদিয়া গেজ ষ্টেশন পয়েন্টে পানি সাত সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় পদ্মার তান্ডব চলছেই। সেই সাথে আশংকা করা হচ্ছে বন্যার। এ বছরের পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মজিদ শেখের পাড়া এলাকাসহ লঞ্চঘাট।সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লঞ্চঘাটের একটি পল্টুনসহ শতাধিক বাড়িঘর। আজ শনিবার (২১ আগষ্ট) সরজমিন পরিদর্শনের ঘাট এলাকায় বসবাসরত লাবু ফকির বলেন, বর্ষা মৌসুমে এই তীব্র স্রোতে জিও ব্যাগ ফেললে কোন কাজেই আসছে না। ফেলানোর সাথে সাথে সেগুলো পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যখন শুস্ক মৌসুম থাকে তখন এগুলো করলে উপকার হতো। এই ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে গত দুইযুগ ধরে। গত চার-পাঁচ বছর এই লঞ্চঘাট ও ঘাটের এলাকাসহ ৫/৭ কিলোমিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। শুধু আশ্বাস শুনা যায় কাজের কাজ কিছুই হয়না। কয়েকজনের হাতেই সবকিছু বন্দী রয়েছে। গত একমাসেই প্রায় দুইশো মিটার এলাকা ভেঙে গেছে নদীর বুকে বিলীন হয়ে গেছে দুইশো পরিবার। এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে থাকায় সরিয়ে নিতে শুরু করেছে বেশ কিছু বাড়িঘর। হুমকির মধ্যে রয়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তের লঞ্চঘাট, শতাধিক বাড়িঘরসহ বহু স্থাপনা। ইতিপূর্বে গত কয়েকদিন আগের ভাঙ্গনে প্রথম দফায় ১০টি বসত বাড়িসহ প্রায় ১৫০মিটার, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩০মিটার, তৃতীয় পর্যায়ে আরো ৩০মিটার এলাকা পদ্মার তান্ডবে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে দায়িত্বরত (বিআইডব্লিউটিএ) এর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লঞ্চঘাটটি মুলত চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। এভাবে নদী ভাঙতে থাকলে যেকোন সময় লঞ্চঘাট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সর্বশেষ ভাঙনের শিকার পরিবারটির প্রধান কর্তা আবুল হোসেন বলেন মন্ত্রী যেদিন আসলে সেদিন সকাল থেকেই তোরজোর বস্তা ফেলার ধুম কিন্তু মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর এগুলো বন্ধ হয়ে যায়। বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান লঞ্চঘাট এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলো। আসলে এখানে লঞ্চঘাট স্থাপন করার মতো কোন জায়গা না থাকায় ঝুঁকির মধ্যে লঞ্চঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে লঞ্চঘাট এলাকার বেশ কিছু অংশ জিও টিউব ব্যাগসহ পানির নিচে ধসে গেছে। এটি দ্রুত রোধ করা না গেলে, যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে ঘাটটিও।

Comments

comments