কালুখালীতে বউ-শ্বাশুরির মারামারির ঘটনায় মামলা, ঢাকায় থেকেও খোকন আসামী
প্রকাশিত: ৩:০৪ অপরাহ্ণ ,১০ মার্চ, ২০২১ | আপডেট: ১:৩১ পূর্বাহ্ণ ,১৪ মার্চ, ২০২১
বিধান কুমার।। সামান্য ঘটনায় তিলকে তাল করে বাদী ফাতেমা বেগম সুযোগ নিয়ে একই পরিবারের ৯ সদস্যকে আসামি করে থানায় মামলা করে বলে অভিযোগ জানায় বিবাদী গন। এমন কি ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরিরত অবস্থায় থেকেও ফাতেমা বেগম কতৃক দায়েরকৃত মামলায় আসামী হতে রেহাই পায়নি গার্মেন্টস কর্মি মোঃ খোকন।
রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়নের বংকুড়ি গ্রামে কানকথা কে কেন্দ্র করে বাড়ির পালানে শুকনা খড়ি সংগ্রহের সময় চাচী শ্বাবশুরি ফাতেমা বেগম (৫০) এর সঙ্গে ভাতিজা বউ লাকি আক্তার (৩৮) এর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’জন দু’জনকে ঝাড়ু দিয়ে আঘাত করে। পরবর্তীতে নিজদোষ এড়াতে সুকৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে কালুখালী থানায় মারপিটের অভিযোগ এনে এজাহার দায়ের করেন শ্বাশুরি ফাতেমা বেগম।
মামলাসুত্রে জানা যায়- বাদী একই পরিবারে ১. মোহাম্মদ মানিক মিয়া (৪৭), পিতা মৃত শাহজাহান,২. লাকি আক্তার (৩৮), পিতা,ইসমাইল, ৩. রকেয়া খাতুন (৫৫), স্বামী- মৃত ইসমাইল, ৪. মোঃআলামিন (১৯),পিতা,মানিক মিয়া,৫. মিতা আক্তার (২১), পিতা মানিক মিয়া,৬. শিল্পী খাতুন (৩১), পিতা,মৃত ইসমাইল, ৭ মোঃ খোকন (৪০), পিতা অজ্ঞাত, ৮.আমির হোসেন (৪৬), পিতা মৃত আরব আলি, ৯. শিল্পী আক্তার (৪০), স্বামী আমির হোসেন সর্ব সাং,বংকুরি, কালুখালী, রাজবাড়ী দ্বয়ের মারামারি অভিযোগ এনে ১৪৩,৪৪৭,৩২৩,৩২৫,৩০৭,৩৭৯,৫০৬,১১৪ পিসি ধারায় একটি এজাহার করেন। যার কালুখালী থানার মামলা নং,০৫।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে বাদীকে তার নিজে স্থলে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান- আমি ঢাকা ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি।
অনুসন্ধানে তা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় বাদি সোনাপুর এক ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। এখন তিনি পার্শ্ববর্তী এলাকায় বোনের বাড়িতে রয়েছেন। সাংবাদিকরা তার নিকট পৌঁছালে তিনি নানা ভাব ভঙ্গিমায় অসুস্থতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন। অবশেষে তার নিকট ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওরা একই পরিবারের ৯ জন গত ৮ ই ফেব্রুয়ারি জ্বালানির জন্য বাড়ির পালন হতে শুকনা খরি আনতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। তখন আমি সেখান থেকে দৌড়ে পালাই ও ঘটনার পরপরই কালুখালী থানায় এসে মামলা করি। তিনি অসুস্থতার বিষয়টি সামনে এনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বিরতি নেন। পরবর্তীতে তিনি আর কোন কথা বলতে মত প্রকাশ করেননি।
বিবাদী মানিক জানায়, আমরা এই ঘটনা সম্পর্কে অনেকেই জানিনা তবুও তার দায়েরকৃত মামলার আসামি হয়েছি এমন কি আমি জেল খেটেছি। আমার চাচীর হয়রানিমূলক মামলা থেকে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরিরত মোঃ খোকন ও রেহাই পায়নি। তিনি ঘটনাস্থলে না থেকে ঘটনার বিষয়ে না জেনেও ৭ নং আসামি হয়েছে। আমার চাচীর এই হয়রানিমূলক মামলা হতে আমরা প্রতিকার চাই। বাংলাদেশ সরকার ও সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সঠিক তদন্ত পূর্বক খতিয়ে দেখা হোক আমরা আদেও এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কিন। আমি ঘটনা সম্পর্কে জানিনা যখন ঘটনাটি ঘটে তখন আমি ইটভাটায় কাজ করি তবুও আমাকে জেল খাটতে হয়েছে। এটা যে কত দুঃখজনক বা পরিতাপের বিষয় তা আপনাদের বলে বোঝানো যাবে না।
এ বিষয়ে মামলার ৭ নং আসামী খোকন বলেন- আমি দীর্ঘদিন ঢাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি রত রয়েছি এই ঘটনার দুই মাস আগে আমি বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারছি না আমি ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে না থেকেও কেন আসামী হলাম। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সঠিক তদন্তের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমি এর প্রতিকার চাই।