দাদশীতে করোনায় আক্রান্তের খবরে লক্ষ্মীকোলেও লকডাউন
প্রকাশিত: ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ ,৯ এপ্রিল, ২০২০ | আপডেট: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ ,১০ এপ্রিল, ২০২০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। দাদশী থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ায় ঘটনাস্থল থেকে ৪/৫/৬ কিলোমিটার দুরে বাঁশ ও কাঠের গুড়ি ফেলে দাদশী ইউনিয়নের কেতো ফকীরের দোকানের সামনে, সাবেক চেয়ারম্যান শওকতের বাড়ির সামনে, বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটসহ দাদশী ইউনিয়ন সংলগ্ন রাজবাড়ী পৌরসভার ২-নং ওয়ার্ডের আংশিক লক্ষ্মীকোল গ্রামের বাগদী পাড়ার মোড়ে, লক্ষ্মীকোল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে, সোনাকান্দরের রাস্তাসহ আরো বিভিন্ন রাস্তা যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ঢাকার সরোওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসা সোনিয়া বেগম (২৩) নামের এক গৃহবধু ও তার স্বামী মালেককে ৮ এপ্রিল-২০২০ বুধবার ভোরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী থানা পুলিশ। পরে তাদেরকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয় এবং ওই বাড়িতে হোম কোয়ারেনটাইন লেখা স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়।
সেই সাথে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের বক্তারপুর ও সমেশপুর দুটি গ্রাম দুপুরে লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার মজুমদার জানান, রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের বক্তারপুর এলাকার বাসিন্দা এক পুলিশ সদস্যর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার এ্যাপেনডিস সমস্যায় চলতি মাসের ৩ তারিখে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করেন। এরপর ৪ তারিখে তাকে ঢাকায় সরোওয়ার্দী হাসপাতলে স্থানান্তর করে। সেখানে তিনি জ্বর সর্দিতে আক্তান্ত হলে তার করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করানো হলে তিনি আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। এরপর তিনি ওই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে রাজবাড়ী চলে আসেন। পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নজনদারিতে মঙ্গলবার রাত তিনটা থেকে তাদের বাড়িসহ চারটি বাড়ি ঘিরে রাখা হয়। এবং সকালে স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জামান খান বলেন- এ ঘটনার পর আমরা পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় তাদের স্বামী স্ত্রীকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। পাশাপাশি তারা নীজের বাড়ি ও শশুর বাড়ি যেদুটি গ্রামে অবস্থান করেছে সেই গ্রাম দুটি লকডাইন করেছি।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুল আসলাম জানান- ওই রোগীর করোনা সনাক্ত হওয়ার পরই ঢাকা থেকে পালিয়ে এসেছে যে কারনে তাকে ধরে এনে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে। এছাড়াও তাদের সংস্পর্শে আশা সকলকে হোম কোয়ারেনটাইনে থাকার পরামর্র্শ প্রদান করা হয়েছে।