যশরের গৃহবধু দৌলতদিয়া যৌনপল্লী হতে উদ্ধার
প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ ,২৫ নভেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ৭:৫৩ অপরাহ্ণ ,২৫ নভেম্বর, ২০১৯
সোহাগ মিয়া-গোয়ালন্দ সংবাদদাতা।। স্বামীর নির্যাতন ও পেটের দায়ে আসা যশরের এক গৃহবধুকে (২৮) কে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী হতে উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশ। উদ্ধারের পর পরেরদিন ২৪ নভেম্বর রবিবার তার স্বামীর হাতে তুলে দেয়া হয়। তাদের বাড়ী যশোর কোতয়ালী থানায়।
২৩ নভেম্বর-১৯ শনিবার রাত ১১.টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌন পল্লীর রমজান ফকিরের বাড়ী হতে তাকে
রবিবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় উদ্ধার হওয়া গৃহবধু জানান- তার স্বামী যশোর পতিতাপল্লীতে একটি মেয়ের সাথে থাকে। যা আয় রোজগার করে সেখানেই খরচ করে। আমার একমাত্র ছেলেটি এবার পিইসি পরীক্ষা দিয়েছে। আমার খুব ইচ্ছা ওকে পড়ালেখা করাবো। দীর্ঘ ৭ বছর মানুষের বাড়ীতে কাজকর্ম করে চলি আমি। কিন্তু বাসা ভাড়া, ছেলের খরচ, ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা আমার পক্ষে আর সম্ভব হয়ে উঠছিল না। এরপরও স্বামী মাঝে মধ্যে বাড়ীতে এসে আমার কাছে টাকা পয়সা দাবী করতো এবং যেনতেন কারণে বেদম মারপিট করতো। এ অবস্থায় এক সপ্তাহ আগে ছেলের কাছে ঢাকায় গার্মেন্টসের চাকরীর মিথ্যা কথা বলে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে চলে আসি। কিন্তু এখানেও সে (স্বামী) আমার খোঁজ পেয়ে যায়। তবে এই পথে আসা তার ভুল ছিল বলে তিনি স্বীকার করেন।
গৃহবধুর স্বামী নিজের ভুল স্বীকার করে জানান- আমি গোপনে খোঁজ পেয়ে ওকে উদ্ধার করতে এখানে এসেছি। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। ওকে আর নির্যাতন করবো না। এখন থেকে ঠিকঠাক কাজকর্ম করে ওকে নিয়ে সংসার করবো।
পল্লীর বাড়ীওয়ালার ছেলে মমিন ফকির জানান, এখানে আসার পর সে একটি টাকাও রোজগার করতে পারেনি। এই কয়েকদিনে আমার কাছে বরং দেড় হাজার টাকার মতো দেনা হয়েছে। তবে সে স্বামীর ঘরে ফিরে যাচ্ছে দেখে আমি খুশি হলাম। তার প্রতি আমার কোন দাবী নেই।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, স্বামী-স্ত্রী দু’জনের অঙ্গীকার নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।