গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর পারে মাটি ও ভরাট বালু কাটার মহাউৎসব।
প্রকাশিত: ৬:২৪ অপরাহ্ণ ,৩ মার্চ, ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ ,৪ মার্চ, ২০২২
বিধান কুমার।। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় একাধিক জায়গায় ফসলি জমি ও নদীর পারে চলছে মাটি ও বালি বিক্রির মহাউৎসব। প্রশাসনের সামনে দিয়েই চলছে মাটি ও বালির রমরমা ব্যবসা, দেখার কেউ নেই বলছেন নদী পারের সাধারণ অসহায় নিরীহ মানুষগুলো।
বৃহস্পতিবার (৩ এই মার্চ) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৭নং ফেরি ঘাটের পাশে প্রভাবশালী একটি মহল ভেকু দিয়ে অবাদে প্রতিনিয়ত খনন করে বালি বিক্রি করে যাচ্ছে। প্রতিদিন ড্রাম ট্রাক দিয়ে ৫০০ গাড়ি বালি বিক্রি করছে। তার দাম ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। হুমকির মুখে রয়েছেন ৭নং ফেরি ঘাট। আর ভাঙন আতংকে রয়েছেন নদী পারের সাধারণ মানুষ।
এদিকে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকায় নদীর পাড়ে চলছে মাটি কাটার উৎসব। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর ভাঙন শুকনো মৌসুমে বেকু দিয়ে মাটি খনন করার উৎসব। খনন কৃত মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইট ভাটায়, বালু যাচ্ছে ভরাট কাজে। প্রতিদিন শতশত ট্রাক বালু ও মাটি খনন করে বিক্রি করছে প্রভাবশালী একটি মহল। নদী পাড়ের মানুষের একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালিত হয় কিছু দিনের জন্য বন্ধ থাকে, কিছুদিন যেতে না যেতেই চালু হয়ে যায় মাটি ও বালির ব্যবসা। মাটি কাটার সাথে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন মহল নিয়ন্ত্রণ করে বিক্রি করছেন মাটি ও বালি। তাদের কিছু বলতে গেলেও নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ পর্যন্ত দিতে ভয় পায় ভুক্তভোগী পরিবাররা।
আবার অন্যদিকে গোয়ালন্দে কয়েকটি স্থানে বেকু দিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি মাটি খনন করে মাটি বিক্রি করছে। এতে অনেকের পাশের ফসলি জমি ভেঙ্গে যাচ্ছে, করতে হচ্ছে মারামারি বাধ্য হচ্ছে প্রভাবশালীদের নিকট অল্প মূল্যে বিক্রি করতে। এতে প্রতিকার চায় ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয় গোয়ালন্দ উপজেলা ভূমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমরা এই অভিযান করে যাচ্ছি এবং আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল জরিমানা করা হচ্ছে, এ বিষয় অভিযানে যাচ্ছি এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।