বালিয়াকান্দিতে প্লাষ্টিকের চাল বিক্রয়ের অভিযোগ।
প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ ,২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ ,২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি।। বালিয়াকান্দিতে প্লাষ্টিকের চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল গ্রামের সুলতান মাহমুদ নামের একজন ভোক্তা লিখিতভাবে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট অভিযোগ জানান। অভিযুক্ত খুচরা বিক্রেতার নাম অরুন কুন্ডু। অরুন কুন্ডুর দাবী তিনি আব্দুল মান্নান খান নামে একজনের নিকট থেকে পাইকারী ক্রয় করেছিলেন চাল। আবদুল মান্নান খান বালিয়াকান্দি বাজারের একজন পাইকারী বিক্রেতা ও টিসিবির ডিলার। আবদুল মান্নান খান জানিয়েছেন অরুন কুন্ডু শুধু আমার নিকট থেকেই চাল পাইকারী ক্রয় করেন না, তিনি বিভিন্নস্থান থেকে চাল পাইকারী আনেন।
ভূক্তভোগি সুলতান মাহমুদ বলেন, ২০ জানুয়ারি বালিয়াকান্দি বাজারের অরুণ কুন্ডুর দোকান থেকে ১৬ কেজি বিনা গোল্ড চাল ক্রয় করি। চাল দিয়ে ভাত রান্না করে খেয়েছি। পরশু আমার স্ত্রী পিঠা তৈরি করতে গেলেই বাধে বিপত্তি। ব্লেন্ডারের মধ্যে দিলে প্লাষ্টিকের দানার মতো ছোট ছোট টুকরা তৈরি হওয়াতে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সোমবার (২১ জানুয়ারি) আমি উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট অভিযোগ জানাই।
খুচরা চাল বিক্রেতা অরুন কুন্ডু জানান, আমি খুচরা চাল বিক্রি করি। মান্নান খানের নিকট থেকে মাস খানেক আগে ১৫ বস্তা বিনা গোল্ড চাল পাইকারী ক্রয় করি। সুলতান সাহেব আমার নিকট থেকেই চাল নিয়েছিলো। আসলে আমি তো খুচরা বিক্রি করি কিভাবে বুঝবো এটায় ভেজাল আছে। প্লাষ্টিকের চাল কিনা সেটা আমি জানিনা।
আবদুল মান্নান খান বলেন, আমি ছয়-সাত বছর ধরে টিসিবির ডিলারী করি। প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে বেনাপোল থেকে পাঁচ টন চাল কিনি। চালের নাম বিনাগোল্ড। আমার কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতা অরুন কুন্ডু চাল কিনে খুচরা বিক্রি করে। অরুণ আরও অন্য ডিলারের কাছ থেকেও চাল কেনে। অরুনের কাছ থেকে সুলতান নামে এক ব্যক্তি চাল কিনে ছিল। তবে এটি প্লাষ্টিকের চাল কিনা তা বলতে পারবো না। আমি টাকা দিয়ে ভালো চাল কিনি, আমার ব্যবসায় সুনাম রয়েছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিবুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা সাধারণ চাল আগুন দিয়ে পোড়ানো হলে তা পুড়ে যায়। বা মচমচে ভাজা হয়ে যায়। কিন্তু এই চাল আগুন দেওয়ার পর গলে একটি পিন্ড বা দলার মতো হয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো প্লাস্টিকের চাল। এরপর অধিকতর পরীক্ষার জন্য তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।