রাজবাড়ীতে সিসি ব্লক নির্মিত নদীর পাড় ফের ধ্বস! কাজের গুনগতমান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন
প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ ,২৯ জুলাই, ২০২১ | আপডেট: ৩:৩২ পূর্বাহ্ণ ,১ আগস্ট, ২০২১
রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষা (১ম পর্যায় সংশোধিত) প্রকল্পের চলমান কাজ শেষ না হতেই গোদার বাজার অংশে পৃথক কয়েকটি পিচিং স্থানের প্রায় ২০০ মিটার ব্লক ধসে গেছে ও আরও ধস দেখা দিয়েছে।আতঙ্ক রয়েছে এলাকাবাসী।
সে কারনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফেলতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
গত ২৭ জুলাই-২১ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বুধবার ভোর রাত পর্যন্ত গোদার বাজারের এনজিএল ইট ভাটার পূর্ব ও পশ্চিম প্বার্শের ২০০ মিটার অংশের পিচিং ব্লক ধসে গেছে। এছাড়া কয়েকটি স্থানে ফাটলও রয়েছে। এদিকে ভাঙন স্থান হতে বাঁধের দুরত্ব মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিটারের মত। এর আগে ১৬ জুলাই শুক্রবার গোদার বাজার চরসিলিমপুর অংশের পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষা (২য় পর্যায়) প্রকল্পের স্থানের কাজ শেষের ২ মাস যেতে না যেতেই প্রায় ৩০মিটার অংশের পিচিং ব্লকে ধসে যায়। পড়ে স্টোকে থাকা ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানাগেছে, ২০১৯ এর জুলাইতে শুরু হওয়া (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের রাজবাড়ী পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষার কাজের আড়াই কিলোমিটার অংশের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে ৭৬ কোটি টাকা ব্যায়ে কাজ শুরু হয়। যা এখনও চলমান।
এদিকে ভাঙ্গন রোধে ২০১৮ সালের জুন মাসে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষার কাজ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাটে ৩ কিলোমিটার ও মিজানপুরে দেড় কিলোমিটারসহ সাড়ে ৪ কিলোমিটারসহ মোট ৭ কিলোমিটার অংশে ৩৭৬ কোটি ব্যায়ে কাজ শুরু হয়। যা এখনও চলমান। কিন্তু সে কাজেরও চলমান অবস্থায় গোদার বাজারের চর সিলিমপুর এলাকায় নুতন ৩০ মিটার ধসে যায়।
স্থানীয়রা বলেন- ব্লক দিয়ে বাঁধের কাজ বছরের পর বছর স্থায়ী হয়। কিন্তু এবার শুরু থেকেই কাজ ভাল হয়নি। নতুন মাটির ওপর সোলিং করে ব্লক বসিয়েছে। আর নিচে যে গাইড ওয়ালের সাপোটিং দেয়া প্রয়োজন ছিলো, সেটিও দেয়নি, আবার ব্লকের কাজ শেষের পর বেড়িবাধের দিকে দাবা রেখে দেয়ে সেখানে পানি জমে। যে কারণে ব্লক বসানোর দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে ধসে পড়লো।এখন যে ভাবে ভাঙছে তাতে দ্রুত রোধ না করতে পারলে বাঁধ ভেঙে শহরে পানি প্রবেশ করবে। এখন এ কাজ পুনরায় করতে ডনিশন যাবে সরকারের টাকা। একই জায়গায় বার বার অর্থ ব্যয় করলে দেশে উন্নয়ন হবে কিভাবে? আসলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের গাফেলতিতেই এ ভাঙন। ঠিকাদারের থেকে ঘুস খেয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও ভাঙন রোধ হচ্ছে না তাদের উদাসিনতায়। সন্ধ্যার একটু পর থেকে সকাল পর্যন্ত ভাঙনে প্রায় ২০০ মিটার ব্লক ধসে যায়।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রোকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে দ্রুত তারা ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে এসে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এবং ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ও টিউব ফেলার কাজ শুরু করেছেন। এ কাজের জন্য ২০১৬/১৭ সালে ডিজাইন করা হয়। তখন নদীর যে গতিপথ বা অবস্থা ছিল। এখন সেটা নাই। হয়তো সে কারণে ব্লকে ধস দেখা দিয়েছে। আর কাজের গুনগত মান নিয়ে কোন সন্দেহ নাই।