কালুখালীর চাঞ্চল্যকর রবিউল বিশ্বাস হত্যা মামলার ঘটনা ফাঁস
প্রকাশিত: ৪:২১ অপরাহ্ণ ,৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | আপডেট: ১:২৭ পূর্বাহ্ণ ,৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। কালুখালীর চাঞ্চল্যকর রবিউল বিশ্বাস হত্যা মামলার সন্দেহ জনক আসামি ইদ্রিস প্রমাণিক আদালতে রবিউল হত্যার পরিকল্পনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং ওই পরিকল্পনা সভায় যারা যারা উপস্থিত ছিলো তাদের নামও প্রকাশ করেছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৩ সেপ্টেম্বর-২০ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকা থেকে ইদ্রিস প্রমাণিক (৩০) কে গ্রেফতার করে পরদিন শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। এ মামলায় ইতোপূর্বে- রাকিব, সোহেল ও তার ভাই রাসেল গ্রেফতারসহ এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতারকৃত ইদ্রিস- রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের সমশের মার্কেট এলাকার হানিফ প্রামাণিকের ছেলে।
৬ সেপ্টেম্বর-২০ রবিবার দুপুরের দিকে রাজবাড়ী ডিবির ওসি ওমর শরীফ জানান- রবিউল হত্যা মামলার সন্দেহ জনক আসামি হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকা থেকে ইদ্রিস প্রমাণিককে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বাকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। ইদ্রিস প্রমাণিক রবিউল হত্যার পরিকল্পনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং ওই পরিকল্পনা সভায় যারা যারা উপস্থিত ছিলো তাদের নামও প্রকাশ করেছে। তিনি আরো বলেন, রবিউল হত্যা মামলায় ইতোমধ্যে রাকিব, সোহেল ও রাসেল নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিউল হত্যা মামলায় সোহেল ও রাসেলের জামিন হলেও তারা দুই ভাই বর্তমানে পুলিশের উপর হামলা মামলায় কারাগারে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগষ্ট রাতে রাজবাড়ীর কালুখালীর বেতবাড়িয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আছিরুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ও মুদি ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বিশ্বাস (৩৫) কে তার বাড়ীর অদুরে একটি বিলের পানির মধ্যে চুবিয়ে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনার নিহতের স্ত্রী মোছাঃ সাবানা আক্তার বাদী হয়ে ৫ জনকে চিহ্নিত করে কালুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলায় এজাহার ভুক্ত রাকিব মন্ডল, সহ ৩ জন কে গ্রেফতারর করেছে পুলিশ। অপরদিকে, রবিউল হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী কালুখালী থানার এসআই ফজলুল হকসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আটকে রেখে মারপিটের ঘটনায় কালুখালী থানার এসআই সোহাগ সাহা বাদী হয়ে ৩০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। এ দু’টি মামলাই জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে। যা তদন্ত করছেন গোয়েন্দা শাখার এসআই ফেরদৌস আহম্মেদ।