রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত
প্রকাশিত: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ ,১৫ আগস্ট, ২০২০ | আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ ,১৮ আগস্ট, ২০২০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ১৫ই আগস্ট-২০২০ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।
শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন- জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান.পিপিএম.বার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহাম্মদ আলী চৌধুরী, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নূরুল ইসলাম, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী বিমল কুমার দাস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে.কি.এম সাদ্দাম হোসেন, জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোপাল কৃষ্ণ দাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, আনসার ও ভিডিপিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানো হয়।
এরপর, কালো ব্যাজ ধারণ ও জেলা প্রশসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম নওয়াব আলী, রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম গোলদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন উদ্দিন বতু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল।
এছাড়াও আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী যোগদান করে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জিল্লুল হাকিম, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার), সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নূরুল ইসলাম, রাজবাড়ী সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলীপ কুমার কর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা ও জাতীয় চার নেতার হত্যা প্রসঙ্গে আলোচনা করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
আলোচনা সভার শেষে বঙ্গবন্ধুর উপর অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে যুব ঋণের চেক বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। বাদ যোহর সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, মন্দির ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা, দুপুরেএতিমখানা ও সরকারী শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার বিতরণ এবং সন্ধ্যায় তথ্যচিত্র প্রদর্শনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।