আজ : বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে গৃহবধুর আত্নহত্যা নাকি হত্যা? স্বামী আটক!


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ ,১৪ মার্চ, ২০২০ | আপডেট: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ ,১৫ মার্চ, ২০২০
রাজবাড়ীতে গৃহবধুর আত্নহত্যা নাকি হত্যা? স্বামী আটক!

রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। রাজবাড়ী জেলা শহরের ভবানীপুর গ্রামের মামীম মঞ্জিলে শিরিনা আক্তার (২২) নামে এক নববধুর মৃত্যু হয়েছে। ১৩ ই মার্চ-২০২০ শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১১.টার দিকে এ ঘটনা ঘটে এবং একই দিন বেলা আড়াইটার দিকে ওই গৃহ বধুর লাশ উদ্ধার করে রাজবাড়ী থানা পুলিশ। মৃত শিরিনা শরীরে কয়েকটি চিহ্ন দেখে বিষয়টি জটিল মনে হওয়ায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটা আত্নহত্যা না কি হত্যা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এলাকাবাসীর মনে! ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায়, জিজ্ঞাসা বাদের জন্য নিহত শিরিনার স্বামী শামীম আহসান (৩০) কে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনা স্থল নিহত শিরিনা আক্তারের রুম থেকে একটি পেন ড্রাইভ, ওড়না ও মোবাইল জব্দ করেছে পুলিশ।

শামীম রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসর প্রাপ্ত একাউন্স হেড ক্লার্ক মোঃ ইশাক মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, নিহত শিরানা আক্তার ভবানীপুরের শামীম মঞ্জিলে ভাড়া থেকে লেখা পড়া করতো। সে রাজবাড়ী সরকারী কলেজ থেকে এবার অনার্স পরীক্ষা দিয়েছে। ভাড়া বাসা থেকেই উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের সৃষ্টি হলে পারিবারিক ভাবে গত ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয়।

স্বামী/আটক শামিমের দুলাভাই মোঃ মোতালেব জানান- শামীম জানতে পারে তার স্ত্রী’র অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিলো। এ নিয়ে কয়েকবার পারিবারিক ভাবে বসা হয়। সেই ছেলেটি নিহত শিরিনের মোবাইলে মেসেজ দিতো। এ নিয়ে অশান্তির সুত্রপাত হলে গত ১২ মার্চ শামীম তার শাশুড়ীকে তাদের বাড়ী আস্তে বলেন। তার মেয়ের এ বিষয়টি তার শাশুড়ীকে জানান এবং তার শাশুড়ি মেয়েকে বুঝিয়ে রেখে পরদিন সকালে তিনি পাংশা উপজেলার আশুর হাট এলাকায় গ্রামের বাড়ী চলে যান।

এদিকে শামিমের মা জানান, আমার ছেলে বাড়িতে ছিলনা। আমরা স্বামী, আমি আর ছেলের বৌ বাড়িতে ছিলাম। সকাল সাড়ে ১০.টার দিকে আমার ছেলের বৌ ওযু করে তার ঘড়ে ঢুকতে দেখেছি। অনেকক্ষন তার কোণ সাড়া শব্দ না পেয়ে ডাকা-ডাকি করি, এরপর রুমের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে দেখি বৌ’মা ওড়না গলায় পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলছে। পরে আমি আর আমার স্বামী সেখান থেকে তাকে নামাই। পরে বৌ’মার মায়ের বাড়ী খবর দেই।

নিহত শিরিনার বাবা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, মেয়ে পড়া শোনা করেছে কলেজে দু’একজন বন্ধু থাকতে পারে এ নিয়ে প্রায়ই আমাদের কাছে ফোন যেত যে, আপনার মেয়ের এ ঘটনা। এগুলো সমাধান করেন। পরে তারা এসে মেয়েকে বুঝিয়ে শুনিয়ে চলে যেত।

তবে আশপাশের লোক থেকে জানাযায়, বিয়ের পর সাংসারিক বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে বৌ-শ্বাশুরীর প্রায়ই ঝগড়া লাগতো।

এ বিষয়ে, রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার জানান- লাশের কয়েকটি চিহ্ন দেখে বিষয়টি জটিল মনে হওয়ায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আমরা জানতে পারবো এটি কি হত্যা না আত্ন হত্যা? তবে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।

Comments

comments