সমীর কান্তি বিশ্বাস-রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। কৃষি জমি জবর দখল করে জিয়াউর রহমান জিয়া নামের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি তার নিজ নামে গড়াই নদীর জায়গা দখল করে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শন করে ভাটায় চলছে ইট পুড়ানোর কাজ। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। নেই জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স বা অনুমতি, নেই বৈধ কাগজ পত্র।
প্রসঙ্গত ইট ভাটাটি- রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নে গড়াই নদীর পাড় এলাকার মহিষকুন্ডি গ্রামে অবস্থিত।
এলাকার মানুষ অভিযোগ করে জানায় ভাটা মালিক জিয়াউর রহমান জিয়া এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস হয় না কারও। ইতিমধ্যে স্থানীয় এলাকার প্রশাসন ভাটায় অবৈধ ভাবে কাঠ খরি পুড়ানো এবং কৃষি জমি খনন করে মাটি সংগ্রহ ও ড্রাম কেটে চিপনি তৈরা করার অপরাধে ভাটার মালিককে জরিমানা ও মামলা দায়ের করা হয়। প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও হরহামেষে চলছে অবৈধ ভাবে ভাটার কাজ। এব্যাপারে ভাটার মালিক পক্ষ অদৃশ্য কারন বশত কারও তোয়াক্কা না করে আইনের প্রতি বৃদ্ধা আঙ্গলী প্রদর্শন করে ভাটায় চালিয়ে যাচ্ছে ইট পুড়ানো কাজ।
আইনে আছে, *জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স বা অনুমতি ছাড়া কোনো ইট ভাটা স্থাপন করা যাবেনা (৪ ধারা)। *পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও অনুমোদন ছাড়া কোনো ইট ভাটা স্থাপন করা যাবেনা। ইট তৈরির জন্য কৃষিজমি, পাহাড়, টিলা, মজা পুকুর, খাল, বিল, খাঁড়ি, দিঘি, নদ-নদী, বা পতিত জায়গা থেকে মাটি কাটা নিষিদ্ধ। কোনো ব্যক্তি ইট ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কোনো জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করতে পারবেনা। রাজবাড়ী জেলায় যেভাবে ইট ভাটা স্থাপন করা হচ্ছে তাতে জেলা প্রশাসনের অনুমোদনের বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।