আজ : বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপিকে অসম্মানের মধ্যোদিয়ে রাজবাড়ীতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৬:১৫ অপরাহ্ণ ,৭ মার্চ, ২০২০ | আপডেট: ৩:০১ পূর্বাহ্ণ ,৮ মার্চ, ২০২০
এমপিকে অসম্মানের মধ্যোদিয়ে রাজবাড়ীতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি।। রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীকে অসম্মানের মধ্যোদিয়ে রাজবাড়ীতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ৭ মার্চ-২০২০ শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. এসএ সোবাহানের সভাপতিত্বে এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফির উপস্থাপনায় উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।

এ সভায়, অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেদায়েত আলী সোহরাব, পৌর মেয়র মুহাম্মাদ আলী চৌধুরী, এ্যাড. গণেশ নারায়ন চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুর জব্বার।

এরপর, উপস্থাপক বক্তব্য প্রদানের জন্য এমপি কাজী কেরামত আলীর নাম ঘোষনা করেন, তখন বক্তব্য দিতে বাকী ছিলেন আরো একজন বক্তা- জেলা আওয়ামীলীগের ভাপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী।

উপস্থাপক কতৃক এমন উল্টাপাল্টা নাম ঘোষণা করায় প্রধান অতিথি বিষ্মিত ও হতভম্ব হয়ে যান। পরে তিনি স্টেজ থেকে নেমে যান।

সাধারনত কোন অনুষ্ঠানে বা আলোচনা সভায়- বিশেষ অতিথিসহ সকল বক্তার পরে ও সভার সভাপতির আগে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন প্রধান অতিথি। নিয়ম-নিতি বা প্রটোকল অনুযায়ী সেটাই স্বাভাবিক।
দেখাযায়, বক্তব্য প্রদানের জন্য সিরিয়াল/ক্রমিক অনুসারে- প্রটৌকল লংঘন করে একজন বিশেষ অতিথির বক্তব্য বাকী থাকতেই প্রধান অতিথির নাম ঘোষনা করা হয়। উপস্থাপক কতৃক নিয়মবহির্ভূত নাম ঘোষনা করায় প্রধান অতিথি নিজেকে অপমানবোধ মনে করে এ সময় নিঃশব্দে ভদ্রচিতভাবে মঞ্চ থেকে নেমে চলে যান এমপি কাজী কেরামত আলী।

উপস্থাপক এরপর জেলা আওয়ামীলীগের ভাপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর নাম ঘোষনা করেন, তিনি বক্তব্য রাখেন। এরপরই সভার সভাপতি বক্তব্যের মাধ্যমে সভা সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষন সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করেন উপস্থিত বক্তারা।

এ বিষয়ে, মুঠোফোনে কথা হলে কাজী কেরামত আলী বলেন- আমি প্রধান অতিথি ছিলাম, আমাকে অসম্মান করা হয়েছে, সে কারনে বক্তব্য না দিয়েই মঞ্চ ছেড়ে আমি চলে এসেছি। এ সময় প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের বক্তব্য বাকী থাকতেই কি করে প্রধান অতিথির নাম বলে, আমার নাম বলে কিভাবে? আমার বক্তব্য থাকবে সব বক্তার পরে আর সভাপতির আগে। মূলত আমার সন্মানকে খাট করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করেছে উপস্থাপক। প্রথমত আমি একজন সংসদ সদস্য, তাছাড়াও আমি দলের সিনিয়র সহসভাপতি। কি করে সে আমার পরে সিরিয়াল পায়? ভাইয়ের দিক থেকেও তো আমি ইরাদতের বড় ভাই, সেদিক থেকেওতো ও আমার ছোট। এটা কি ঠিক করেছে এখন তুমিই (সাংবাদিক) বলো ?

Comments

comments