জনতার মেইল ডেস্ক।। প্রবাস ফেরত বাংলাদেশিদের বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেনন, ‘আমাদের যারা বিদেশে কাজ করে, যাদের অর্থে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি, আমাদের রিজার্ভ নিশ্চিত হয়, তারা যখন দেশে ফেরে তখন নানাভাবে তাদেরকে অনেক সময় হয়রানি করা হয়।’
২৯ ফেব্রুয়ারি-২০২০ শনিবার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন এ ধরনের হয়রানি অনেকটা কমে গেছে। তারপরও আমি বলব, আমাদের দেশের যারা বিদেশে যায়, যাদের জন্য বিরাট অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি। তাদের সুবিধাগুলো দেখতে হবে। তাদের যেন কোনোরকম হয়রানি না করা হয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে ভিআইপি, ভিভিআইপিসহ সবাইকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা মেনে চলার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
এসময় তিনি মন্ত্রী, এমপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যখন বিদেশে যান, তখন যেভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, ঠিক সেইভাবে সবাইকে সেটা মেনে নিতে হবে। সেখানে কেউ কোনো বাধা দিতে পারবেন না। যদি কেউ বাধা দেন, তাহলে ভবিষ্যতে বিমানে চড়াই বন্ধ হয়ে যাবে। অন্তত সেটা আমি করব।’
বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি এবং মাদক মুক্ত করে গড়ে তোলার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দিন-রাত পরিশ্রম করবো দেশের উন্নয়নের জন্য, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জন করবে আর দেশের উন্নয়নের কাজ সঠিক ভাবে হবে না। সেখান থেকে কেউ অসাধু উপায়ে নিজের ভাগ্য গড়তে যাবে। সেটা কখনো সম্ভব হবে না। এটা আমরা কখনো বরদাশত করব না।’
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদেরকেও মনে রাখতে হবে যেই বিমানটা আমাদের নিজেদের, নিজস্ব অর্থে কেনা কাজেই তারই রক্ষণাবেক্ষণে সকলকেই বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন,‘আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি কিন্তু এখানেই থেমে থাকবো না। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ।’
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।