জনতার মেইল ডেস্ক।। ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ও পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক সাংসদ তাপস পালের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
১৮ ফেব্রুয়ারি-২০২০ মঙ্গলবার ভোর রাত ৪.টার দিকে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়, বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকাসূত্রে এ খবর জানা গেছে।
এনডিটিভি জানায়, কন্যাকে দেখতে মুম্বাই গিয়েছিলেন তাপস। সেখান থেকে কলকাতায় ফেরার সময় মুম্বাই বিমানবন্দরে বুকে ব্যাথা অনুভব করার কথা জানালে তাকে জুহুর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভোররাত ৪.টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি। গত দুই বছরে চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই অভিনেতা।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী নন্দিনী পাল ও কন্যা সোহিনী পালকে রেখে গেছেন তিনি।
তার মৃত্যুতে কলকাতার সিনেমা পাড়া টালিগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম।
১৯৫৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগরে জন্ম তাপস পালের। ১৯৮০ সালে তরুণ মজুমদার পরিচালিত ছবি ‘দাদার কীর্তি’ দিয়ে সিনেমায় অভিষেক। অভিষেকেই দর্শকের মন জয় করেন।
এরপর সাহেব, গুরুদক্ষিণা, অনুরাগের ছোঁয়া, ভালোবাসা ভালোবাসা, মায়া মমতা, সুরের ভুবনে, আগমন, মঙ্গলদীপ, সমাপ্তি-সহ তার একাধিক ছবি হিট হয়।
‘সাহেব’ ছবির জন্য ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পান। বাংলার পাশাপাশি হিন্দি ছবিতেও নেমেছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে তার অভিনীত ‘অবোধ’ ছবির নায়িকা ছিলেন হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত।
পরে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের রাজনীতিতে জড়ান তাপস। ২০০৯ সালে ভারতীয় লোকসভার কৃষ্ণনগর আসন থেকে তৃণমূলের সাংসদ নির্বাচিত হন। এই আসন থেকে ২ বার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
রাজনৈতিক জীবনে নানা কারণে বিতর্কিত হন তাপস। ২০১৬ সালে রোজভ্যালিকাণ্ডে গ্রেপ্তার হন তিনি, পরে ২০১৮ সালে জামিন পান। ।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।