গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিনিধি।। গোয়ালন্দে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে গুরুতর জখমের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ১৯ দিন পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো যুবক শফিক সরদার। ২৭ জানুয়ারি-২০২০ সোমবার ঢাকা মিরপুরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে আইসিইউ’তে তার মৃত্যু হয়। এমন তর-তাজা যুবকরে মৃত্যুতে পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
শফিক, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের আদু মাতুব্বার পাড়া গ্রামের ইসলাম সরদারের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- বাড়ির কাছে স্থানীয় আঃ সালাম শেখের মুদিদোকানে শফিক ছোট ভাইকে ১শ টাকার নোট দিয়ে সিগারেট আনতে পাঠায়। দোকানী আঃ সালাম শেখ শফিকের কাছে পূর্বের পাওনা বাবদ ৬০ টাকা ও সিগারেটের দাম রেখে বাকি টাকা ফেরত দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে শফিক দোকানে এসে তাকে বলে, তোমার পাওনা টাকা আমি পরে দিয়ে দিতাম। ওখান থেকে কেটে রেখেছো কেন? এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এ ঘটনার কয়েকদিন পর, গত ৯ জানুয়ারী-২০২০ মঙ্গলবার রাতে শফিক দৌলতদিয়া ঘাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দোকানী আঃ সালাম শেখসহ কয়েকজন তার গতিরোধ করে এলোপাথারী পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে ঢাকা মিরপুরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে আইসিইউ’তে রেখে চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে হামলার ঘটনার ২ দিন পর শফিকের বাবা ইসলাম সরদার বাদি হয়ে গত ১১ জানুয়ারী-২০২০ শনিবার- রিংকু শেখ, আঃ সালাম শেখ, ও তার ছেলে মোহাম শেখ, আহম্মদ শেখ, তার ভাই আঃ কাদের শেখ, মোতালেব শেখ, ভাতিজা ইউছুফ শেখ, আব্দল্লাহ শেখ ও লুতফর খা’র নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
এ প্রসঙ্গে, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান- এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টার যে মামলাটি হয়েছে, সেই মামলাই এখন হত্যা মামলা হিসেবে পরিচালিত হবে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে আছে। তবে তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর আছে বলে তিনি জানান।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।