আজ : বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের খুঁজে বেড় করুন- এমপি


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ ,২০ জানুয়ারি, ২০২০ | আপডেট: ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ ,২২ জানুয়ারি, ২০২০
রাজবাড়ীতে সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের খুঁজে বেড় করুন- এমপি

নিজস্ব প্রতিনিধি।। সম্প্রতি রাজবাড়ীতে সাংবাদিক রিয়াজুল করিমের উপর যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, সেই ঘটনায় সাংবাদিক করিম রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমাকে যেটা করিম বললো, ঘটনামূহুর্তে ফোনে এসপি সাহেবের সাথে কথা বলার পর তাকে তিনি থানায় আশ্রয় নিতে বলে। এই বিষয়ে ডিআইজি সাহেবের কাছে আমার বিনিত অনুরোধ, আপনি এসপি সাহেবকে বলে দিবেন, এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত খুঁজে বেড় করে তাদের শাস্তির ব্যাবস্থা করুক। তা-না হলে, এরা কিন্তু আস্তে আস্তে আরো বেড়ে যাবে।

রাজবাড়ী জেলা পুলিশ ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আয়োজনে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের সভাপত্বিতে- ১৫ ই জানুয়ারী-২০২০ বুধবার বিকেল সারে ৩.টায় রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী এবং কমিউনিটি পুলিশিং বিষয়ক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে এসব কথা বলেছেন- সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।

এ অনুষ্ঠানে, সন্মানীত অতিথি- ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার। বিশেষ অতিথি- রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার), হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান,। অন্যান্যদের মধে- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র মহাম্মদ আলী চৌধুরী, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আহ্ববায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, সাবকে মহিলা এমপি কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, রাজবাড়ী সদর থানার ওসি স্বপন মজুমদার, রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলীর কন্যা কানিজ ফাতেমা চৈতি প্রমূখ।

এমপি কাজী কেরামত আলী আরো বলেন- এ ঘটনায় যদি আমাদের ছেলে-পেলেও হয়, যেমন- ছাত্রলীগ হোক, যুবলীগ হোক ছাত্রদল হোক, আর যুবদল হোক, যারাই হোকনা কেন এ ঘটনার সাথে জড়িত? এদের কিন্তু বেড় করতে হবে, এটা আপনার (ডিআইজি’র) কাছে অনুরোধ। কেন-না, যারা সারাদিন-রাত পরিশ্রম করে সাংবাদিকরা। তাছাড়াও, আমাদের সরকার মিডিয়ার যে স্বাধীনতা দিয়েছে, এত স্বাধীনতা কোন সরকারই দেয় নাই।  

তিনি বলেন- সত্য কথা লিখতে গেলে কারো ‘ঘাতে’ যদি ঘা লাগে, সত্য কথা লিখার জন্য সেই সাংবাদিককে মারতে হবে, এটা কিন্তু দুঃখজনক ঘটনা, এটা আমরা মেনে নিতে পারিনা।

তিনি আরো বলেছেন- আজকে আল্লাহপাকের দোয়ায়, আপনাদের দোয়ায় ৫ বার এমপি হয়েছি, কিন্তু সাংবাদিকদের উপরে এইযে হট করে আঘাত, তাদেরকে মারধর করার চেষ্টা করা, তাদের প্রাণনাশ করার করার চেষ্টা করা, এটা কিন্তু কখনো ঘটে নাই।

তিনি বলেন- এর আগে,  আমরা যেদিন (৭ ডিসেম্বর-১৯ শনিবার দুপুরের দিকে রাজবাড়ী জেলা শহরের পালকি রেস্টুরেন্টে- সন্ত্রাসীদের বাঁধারমূখে) প্রেস কনফারেন্স করতে গিয়েছিলাম, আমাদের সেই প্রেস কনফারেন্স বাঁধা দেওয়ার জন্য ওই দিন কতগুলো উচ্ছৃঙ্খল ছেলে-পেলে দেখেছিলাম, আমি মনে করি, ওই ছেলে-পেলেই কিন্ত এরমধ্যে ইনভল্ব, কারন এই সাংবাদিক ওইদিন ওখানে উপস্থিত ছিল।

আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপারে ও ইতমধ্যে গোয়ালন্দ মোড় ও গোয়ালন্দতে কয়েকটা ছেলের উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠা নিয়ে এমপি বলেন- আমাদের রাজবাড়ী একটি ছোট্ট জেলা, আমার নির্বাচর্নী এলাকা ও আমার এলাকার পাশে পাংশা উপজেলা, আমার এলাকায় নদী ভাঙ্গন-তো আছেই, আবার পাংশাতেও এখানে নদী ভাঙ্গন এলাকা। এখানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমনিতেই ভাল আছে, কিন্তু কিছু সময় দেখা যায় যে, বর্ষা মৌসুমে আইন-শৃঙ্খলার উপর বেশি চাপ হয়। কারন, আমাদের পাশেই রয়েছে পাবনা, নদীর এপার-ওপাড়। আমার এলাকায় একটি দৌলতদিয়া ঘাট, আরেকটি নাজিরগঞ্জ-ধাওয়াপাড়া ঘাট। বিশেষ করে ধাওয়াপাড়া ঘাটের উপর দিয়ে বর্ষা মৌসুমে কিছু দুষ্কৃতিকারী নৌকা নিয়ে এসে কিছু ঘটনা ঘটিয়ে চলে যায়, এ ঘটনা কিন্তু প্রতিবছরই হয়ে থাকে। তখন আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কিছুটা বিব্রত বোধ করি। তাছাড়া, আমি ডিআইজি সাহেবের সামনে করে বলছি, ইতমধ্যে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় ও গোয়ালন্দতেও কয়েকটা ছেলেরা উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠেছে সেটা দেখতে হবে।

মুজিব শতবর্ষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজবাড়ীসহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। আর বিশেষ করে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে আজ ১০০ বছর হতো। এই মুজিব শত বছর পালনের জন্য সরকার অনেক কর্মসূচি নিয়েছে, সারাবাংলাদেশে আমরা মুজিব শতবর্ষ সুন্দরভাবে যাতে পালন করতে পাড়ি, সেই জন্য এখানেও আমাদের এসপি সাহেব ব্যাবস্থা গ্রহন করেছেন।

এ সমাবেশের আগে, এ অনুষ্ঠোনেও সিসিটিভি ক্যামেরার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।মোট ৮৮ টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দৌলতদিয়া ঘাট ও গোয়ালন্দ মোড়সহ রাজবাড়ী জেলা শহরের ডিজিটাল নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্যঃ—

                          

হাইকমান্ডের নির্দেশ মানছেন না রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী * ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এর স্থলে বিভিন্ন ব্যানের লিখছেন সাধারন সম্পাদক।  ওর্য়াড, ইউনিয়ন, পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ * দীর্ঘদিনের নিবেদিত নেতাকর্মীরা কোণঠাসা। এর প্রতিবাদে- ৭ ডিসেম্বর-১৯ শনিবার দুপুরের দিকে রাজবাড়ী জেলা শহরের পালকি রেস্টুরেন্টে- সন্ত্রাসীদের বাঁধারমূখে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের অন্তগর্ত বিভিন্ন পর্যায়ের অনিয়মতান্ত্রিক ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাউন্সিল সম্পর্কে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে সাংবাদিক সম্মেলন করতে শহরের পান্না চত্বরের পালকি চাইনিচ রেস্টুরেন্টে উপস্থিত হলে কতিপয় ছাত্রলীগ নামধারী নেতাকর্মীরা সংসদ সদস্যের উপর ও রাজবাড়ীর পৌর মেয়র মহাম্মদ আলী চৌধুরীর চড়াও হয়। সে ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করতে গেলে একপর্যায়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কা দেয়। এঘটনায় এনটিভির সংবাদকর্মীর ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং গাজী টেলিভিশনের সংবাদকর্মীও এঘটনার শিকার হন। এঘটনার পরপরই স্থানীয় পুলিশের উপস্থিতে ঘটনাটি নিয়ন্ত্রনে আসে। এর পরপরই পালকি রেস্টুরেন্টের ২য় তলায় শুরু হয় সংবাদ সম্মেলনের কার্যক্রম। 

                                  

১৩ জানুয়ারি-২০২০ সেমবার রাত ১১.টা ২০মিনিটের সময় রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জেলা শহরের রাজবাড়ী পৌর নিউ মার্কেটের আই ভবনের জনতার মেইল.কম কার্যালয়ের নিচে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন “জনতার মেইল.কম” পত্রিকার সম্পাদক ও রাজবাড়ী ডিজিটাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস.এম. রিয়াজুল করিম।

হাতুরি ও লোহার রডের আঘাতে নিলা-ফোলা গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। ধারালো অস্ত্র চাপাটি উচিয়ে ধাওয়া করে সন্ত্রসীরা। পরে তাকে রাজবড়ী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায়, রাতেই রিয়াজুল করিম বাদী হয়ে ২০/২৫ বয়সের অজ্ঞাত ৭/৮ জন বখাটেকে আসামী করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে এবং এ পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেন নাই।

এ প্রঙ্গে সাংবাদিক এস.এম. রিয়াজুল করিম বলেন- আমাকে কারা মেরেছে জানিনা, তবে রাজবাড়ীতে যারা বিবিন্ন মহলে চাঁদাবাজি করে, টেন্ডারবাজি করে, ক্যাডার-সন্ত্রাসভিত্তিক রাজনীতি করে, যারা রাজনীতিতে রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি শ্রদ্ধেয় আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীকে কোনঠাসা করে রাখতে চায় মূলত তাদের ইশারায়ই আজ আমার উপরে গুপ্ত সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে আমি মনে করি। ##

                                     

সাংবাদিক এস.এম. রিয়াজুল করিম- এর উপরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতবাদে ও অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে- রাজবাড়ী ডিজিটাল প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ ভূমুহীন আন্দোলন রাজবাড়ী জেলা শাখার আয়োজনে ১৯/১/২০২০ তাং সকাল ১১:১০ মিঃ হতে দুপুর ১২:৩০ মিঃ পর্যন্ত সময় জনতার মেইল.কম কার্যালয়ের সামনে ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময়, রাজবাড়ী ডিজিটাল প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দন ও জেলা শাখার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

* এস.এম. রিয়াজুল করিম- “জনতার মেইল.কম” পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, রাজবাড়ী ডিজিটাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি, ইয়াং বাংলা ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের জেলা সমন্বয়ক, জেলা আইসিটি কমিটির সদস্য, রাজবাড়ী পৌর ২-নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সহ-প্রচার সম্পাদক ও রাজবাড়ী জেলা কমিটির আহ্ববায়ক এবং রাজবাড়ী পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্ববায়ক।

Comments

comments