আজ : মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মীর মশাররফ হোসেনের ১০৮তম সাহাদত বার্ষিকী পালিত


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ ,১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ ,১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
মীর মশাররফ হোসেনের ১০৮তম সাহাদত বার্ষিকী পালিত

সমির কান্তি বিশ্বাস।। বাংলা সাহিত্যের অমর দিকপাল ও কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ-সিন্ধু’র রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১০৮তম সাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রে ১৯ ডিসেম্বর-১৯ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.টায় মীরের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মীরের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র, মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদ, বালিয়াকান্দি আদর্শ কাব, মীর মশাররফ হোসেন ডিগ্রী কলেজ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মীর মোশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক মুন্সি আমীর আলী, এম.ইকরামুল হক, উত্তম কুমার গোস্বামী, নারায়ন দেবনাথসহ সাহিত্য পরিষদের সদস্যবৃন্দ, মীর মশাররফ হোসেন কলেজ ও স্মৃতি কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়।

মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা লাহিনীপাড়া গ্রামের মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা-সৈয়দ মীর মুয়াজ্জম হোসেন ও মা দৌলতন নেছা।১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর আজকের এই দিনে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর এখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।

সাহিত্যে ক্ষেত্রে মীর মশাররফ হোসেন উজ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্নজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্ম বিষয়ক ৩৭টি বই রচনা করেছেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কিছুদিন সাংবাদিকতা ও করেছেন।

তার লেখা উপন্যাস ‘উদাসী পথিকের মনের কথা’ (১৮৯০),‘গাজী মিয়ার বস্তানী’, ‘জমিদার দর্পণ’ (১৮৭৩), আতœকাহিনীমূলক রচনাবলী ‘আমার জীবনী’, ‘বিবি কুলসুম’সহ (১৯১০), বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ ও ধর্মবিষয়ক ৩৭টি বই বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি।

Comments

comments