নিজস্ব প্রতিনিধি।। এলএম (ট্রেন ড্রাইভার) সরোয়ার আলম (সেলিম) কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যার টিকিট নং-৬৩১১ এবং সে রেলওয়ে শ্রমিক লীগ, রাজবাড়ী জেলা শাখার সেক্রেটারী। “ড্রাইভারের অবহেলায় রাজবাড়ীতে ৫.১০মিনিটের ট্রেন ছেড়ে গেল ৫.৫৫ মিঃ সময়ে” শিরোনামে গত ১২ই ডিসেম্বর-১৯ বৃহস্পতিবার “জনতার মেইল.কম” এ সংবাদ প্রকাশের পর তাকে বরখাস্ত করা হয়।
১২/১২/২০১৯ইং তারিখে সাময়িক বরখাস্তের এ আদেশ দেন ডিবিশনাল অফিসার (ডিএমই) আশিষ কুমার মন্ডল। যার কন্ট্রোল নং-C2/৯৪/১২।
১২/১২/২০১৯ইং শাটোল ট্রেনটি পোড়াদহের উদ্দেশ্যে রাজবাড়ী রেল স্টেশন হতে নিয়ম মাফিক ৫.১০ মিনিট সময়ে ছাড়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি ছেড়ে যায় ৫.৫৫ মিঃ সময়ে। এই ট্রেনের দ্বায়িত্বে ছিলেন এলএম (ড্রাইভার) সরোয়ার আলম।
ট্রেনটি ছাড়তে দেরি হওয়ায় যাত্রীদের মাঝে হতাশা নেমে আসে, এসময় প্লাটফর্মে হট্টগোলের সৃষ্টি হলে রেলওয়ে পুলিশকে নিয়ন্ত্রন করতে দেখা যায়।
অবশেষে, এলএম ছড়োয়ার আলম না আসাতে এলএম (ড্রাইভার) আজমল হোসেন রাজবাড়ী রেল স্টেশন থেকে ৫.৫৫মিঃ টার সময় ট্রেনটি চালিয়ে পোড়াদহের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। এই অবহেলার কারনে এলএম সরোয়ার আলম চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে, ১৪/১২/১৯ তাং ৮•৩০ মিঃ সময়ে মুঠোফোনে রাজবাড়ী লোক ফোরম্যান আব্দুল খালেক মন্ডল জনতার মেইলকে বলেন- ছড়োয়ার আলম গাফিলতি করায় নিয়ম অনুযায়ী আমি উর্দ্ধোতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। উর্দ্ধোতন কতৃপক্ষ (ডিএমই/পাকশি) তাকে সাসপেন্ড করেছেন। সে কারনে আজ সকালে সরোয়ার আলমসহ আরো দলিয় লোকজন আমার অফিসে এসে সাসপেন্ডের বিষয়ে আমাকে দোষারপ করেছে, একটু খারাপ আচরন করেছে, এতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। রেল আছে তাই আমরা সংগঠন করি, যদি রেল-ই সচল না থাকে সেখানে ইউনিয়নের কি দরকার আর সংগঠনেরই বা কি দরকার। আগে চাকরি তারপর সংগঠন বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন, আমি কোন দল করিনা ঠিকই কিন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি আমার দূর্বলতা আছে, আমি বঙ্গবন্ধুকে সন্মান করি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে, সে এত কষ্ট করে রেলের উন্নতি করেছে। আজ সেখানে কিছু লোকের কারনে রেলকে ধ্বংস হোক, এটা কেউ চায়না। রেল ধ্বংস করার জন্য কিছু লোক বিএপি থেকে আওয়ামীলীগে এসে ষড়যন্ত্র করছে, যাতে রেলের ও সরকারের সুনাম খুন্ন হয়। আমার কথা হলো আগে রেলের উন্নয় তারপর সংগঠন।
গত ১২ই ডিসেম্বর-১৯ বৃহস্পতিবার “জনতার মেইল.কম” যে সংবাদ প্রকাশ প্রকাশ হয়েছিল তা তুলে ধরা হলোঃ-
“ড্রাইভারের অবহেলায় রাজবাড়ীতে ৫.১০মিনিটের ট্রেন ছেড়ে গেল ৫.৫৫ মিঃ সময়”
বিস্তারিত, ইঞ্জিন ড্রাইভার সরোয়ার আলম (সেলিম) এর অবহেলায় ১২ই ডিসেম্বর-১৯ বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী রেল স্টেশন থেকে শাটোল ট্রেন (৬১১৬) পোড়াদহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেল পৌনে ১ ঘন্টা পর। ৫.টা ১০ মিনিটের ট্রেন ছেড়ে গেল ৫.৫৫ মিনিটের সময়, অর্থাৎ পৌনে ১ ঘন্টা (৪৫ মিঃ) দেরিতে ছেড়ে যায়।
শাটোল ট্রেনটি, দৌলতদিয়া ঘাট স্টেশন হতে রাজবাড়ী রেল স্টেশনে পৌঁছানোর সময় ছিল বিকেল ৪.৪০মিঃ সময়। কিন্তু পৌঁছেছে বিকেল ৫.৫ মিনিটে, অর্থাৎ ২৫ মিনিট দেরিতে পৌছায়। অপরদিকে, পোড়াদহের উদ্দেশ্যে রাজবাড়ী রেল স্টেশন হতে নিয়ম মাফিক ৫.১০ মিনিট সময়ে ছাড়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি ছেড়ে যায় ৫.৫৫ মিঃ সময়ে।
জানাযায়, এই ট্রেনের দ্বায়িত্বে ছিলেন এলএম (ড্রাইভার) সরোয়ার আলম (সেলিম) যার টিকিট নং-৬৩১১ এবং সে রেলওয়ে শ্রমিক লীগ, রাজবাড়ী জেলা শাখার সেক্রেটারী।
ট্রেনটি ছাড়তে দেরি হওয়ায় যাত্রীদের মাঝে হতাশা নেমে আসে, এসময় প্লাটফর্মে হট্টগোলের সৃষ্টি হলে রেলওয়ে পুলিশকে নিয়ন্ত্রন করতে দেখা যায়।
অবশেষে, এলএম ছড়োয়ার আলম না আসাতে এলএম (ড্রাইভার) আজমল হোসেন রাজবাড়ী রেল স্টেশন থেকে ৫.৫৫মিঃ টার সময় ট্রেনটি চালিয়ে পোড়াদহের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়।
জানাযায়, নিয়ম অনুসারে এই শাটোল ট্রেনটি রাজবাড়ী হতে ছাড়ার সময় ছিল বিকেল ৫.১০ মিনিটে, আর ছাড়ে যায় ৫.৫৫ মিনিটে। মহিলা ও শিশুসহ শতশত ট্রেনযাত্রীদের ভোগান্তিতে রেখে ৪৫ মিঃ দেরি হওয়ার কারনকি?
১২/১২/১৯ তাং ৫.৫৫ মিনিট সময়ে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার তন্ময় কুমার দত্ত এর উপস্থিতিতে তার অফিস কক্ষ থেকে- এ বিষয়ে রাজবাড়ী লোক ইনচার্জ আব্দুল খালেক মন্ডল জনতার মেইলকে বলেন- প্রতিদিন শাটোল ট্রেনটি দৌলতদিয়া ঘাট হতে পোড়াদহ পর্যন্ত যেয়ে থাকে। এই শাটোল ট্রনটি দৌলতদিয়া ঘাট রেল স্টেশন হতে ছেড়ে এসে রাজবাড়ীতে পৌঁছানোর সময় ছিল বিকেল ১৬.৪০ মিনিটে। কিন্ত সেখানে আসে ১৭.০৫ মিঃ। রাজবাড়ী হতে পোড়াদহের উদ্দেশ্যে ছাড়ার সময় ছিল ১৬.৫০ মিঃ কিন্ত ছেড়ে যায় ১৭.৫৫ মিনিটে। ট্রেনটির ইঞ্জিন নং -৬১১৬।
এই ট্রেনটি রাজবাড়ী হতে পোড়াদহের উদ্দেশ্যে চালিয়ে নেওয়ার দ্বায়িত্বে ছিল এলএম ছড়োয়ার আলম, যার টিকিট নং- ৬৩১১। সে না আসাতে ৪৫মিনিট দেরিতে রাজবাড়ী স্টেশন হতে ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে যায় এলএম আজমল হোসেন। (এলএম (ড্রাইভার) আজমল হোসেনের টিকিট নং-৬৩৮৪)। *কি কারনে এলএম ছড়োয়ার আলম আসেন নাই- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জনতার মেইলকে বলেন- তার ডিউটি আছে, একথা ১৪ ঘন্টা আগে তাকে জানানো হয়েছিল। তখন যেতে চেয়ে সে এখন আসলোনা। তবে কেন আসলোনা সেটা জানিনা, কোন কারনও জানায়নি। তাকে বার বার ফোন করা সত্বেও কোন সারা পাইনি। আজ সে বড় ধরনের একটা অপরাধ করলো। তবে, আজকের বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছি। দেখাযাক তারা কি ব্যবস্থা নেয়।
এ প্রসঙ্গে, মুঠোফনে এলএম (ড্রাইভার) সরোয়ার আলম(সেলিম)জনতার মেইলকে বলেন-গত মঙ্গলবার আমি লোক ইনচার্জ (ফোরম্যান) আব্দুল খালেক মন্ডলকে মুঠোফনে জানিয়েছিলাম যে, আমি আগামীকাল হতে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত কোন ডিউটিতে যেতে পারবনা, কারন আমি রেলওয়ে শ্রমিক লীগ, রাজবাড়ী জেলা শাখার সেক্রেটারী। আমার দলিয় প্রেগামের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আজ সন্ধ্যা ৬.টায় জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে সকল সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনকে নিয়ে যৌথ মিটিং ছিল। লোক ইনচার্জ (ফোরম্যান) আব্দুল খালেক মন্ডল আমার বিরুদ্ধে ফোরম্যান যেটা বলেছেন তা ঠিক বলেন নাই।তিনি ভাল লোকনা, তাছাড়া ফোরম্যান একজন সরকার বিরোধী মনোভাবাপন্ন লোক, আমি আমি আওয়ামীলীগ করি, সেকারনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে বলেছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস.এম. রিয়াজুল করিম
ফোনঃ০১৭৫১-৭৫৭৮৯২,০১৫৫৮-৫১৬৩৮২
কার্যালয়ঃ
পৌর নিউ মার্কেট, আই ভবন (২য় তলা, রুম নং-১২৫) ( জেলা স্কুলের সামনে), প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী।