রাজবাড়ীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-১৯ পালিত হয়েছে
প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ ,১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ ,১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী।। ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১ই ডিসেম্বর- মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজবাড়ীতে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
প্রশাসনঃ
দিবসটি উপলক্ষে ১৫ই ডিসেম্বর-১৯ শনিবার সকালে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লোকোসেড বদ্ধভুমিতে পুষ্পমাল্য অর্পনের মধ্যোদিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিএিম। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বারসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উর্র্দ্ধতন কর্র্মকর্তারা। পরে শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নিরবতা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এছারাও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সন্ধ্যায় লোকোসেড বদ্ধভুমিতে আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথিরি বক্তব্য রাখেন- রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।
আওয়ামীলীগঃ
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় এবং পতাকা উত্তোলন শেষে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
পরে,অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।
এ সময় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়ার সহ সভাপতি ডাঃ এস এ সোবাহানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. গনেশ নারায়ন চেীধুরী, হেদায়েত আলী সোহরাব, রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী খান, সাধারন সম্পাদক শেখ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড.উজির আলী শেখ, সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফি প্রমুখ।
পরে রাজবাড়ীর লোকোসেড বদ্ধভুমিতে শহীদদের সম্মানে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এ দিনে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিকসহ অন্যান্য মেধাবী ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়।
পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ঠাণ্ডা মাথায় এ গণহত্যা চালায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যাতে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. ডালিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ডা. ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন, সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সান্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান, এএনএম গোলাম মুস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক ও সেলিনা পারভিন।
সরকার, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিস্তারিত কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে।