আজ : বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া যৌনপল্লী হতে ৫ যৌনকর্মি উদ্ধার করলো ঢাকার টিম


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ ,২৬ নভেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ ,২৬ নভেম্বর, ২০১৯
দৌলতদিয়া যৌনপল্লী হতে ৫ যৌনকর্মি উদ্ধার করলো ঢাকার টিম

উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী।। গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে অভিযান চালিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৫ জন মেয়েকে উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ থানা পুশের সহযোগীতায় বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির ঢাকার একটি টিম।

তবে এ নিয়ে, মুক্তি মহিলা সমিতি নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। তারা বলছেন উদ্ধার হওয়া মেয়েরা দেখতে খাটো হলেও অপ্রাপ্ত বয়স্ক নয়।

থানা পুলিশ ও যৌনপল্লী সূত্রে জানা গেছে- বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির পরিচালক এ্যাড. তৌহিদা খন্দকার গত ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর একটি পত্র দেন। পত্রে উল্লেখ করা হয় যে, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ১৮ বছরের নীচে কন্যাশিশু যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছে। তাদের উদ্ধার করা প্রয়োজন। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মহাপরিদর্শক রাজবাড়ী পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান (বিপিএম) গোয়ালন্দ থানার ওসিকে নির্দেশ দিলে থানা পুলিশের একটি দল সোমবার মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের সাথে যৌনপল্লীতে অভিযান চালায়। অভিযানে ৫জন মেয়েকে উদ্ধার করে ঢাকায় মহিলা আইনজীবী সমিতির নিজস্ব সেল্টার হোমে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে, সমিতির পক্ষে এ্যাড. ফেরদৌস নিগার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরীতে উদ্ধার হওয়াদের পরিচয়ে বলা হয়েছে যৌনপল্লীর নুর হোসেনের মেয়ে নুর আক্তার (১৫), ফজলুর মেয়ে ফারজানা (১৪), আবুল কালামের মেয়ে বৈশাখী (১৫), রাজবাড়ীর হাবাসপুরের রেজাউলের মেয়ে মুন্নী (১৭) ও ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটার সোহরাব আলীর মেয়ে মনি (১৭)।

এদিকে উদ্ধার হওয়া ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের বয়স নিয়ে নানা মন্তব্য থাকলেও আঞ্জুমান আরা ওরফে মনির বয়সের প্রামাণ্য দলিল পাওয়া তার পাসপোর্ট (নং বিজে-০৭৩১১৬৯) অনুযায়ী জন্ম তারিখ ০১-০২-১৯৯৩ ইং। পাসপোর্টের জন্ম তারিখ অনুযায়ী তার বয়স ২৬ বছর ৯ মাস।

এ বিষয়ে, দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীর যৌনকর্মীদের নিয়ে কর্মরত মুক্তি মহিলা সমিতির সভানেত্রী শেফালী আক্তার দাবী করেন, উদ্ধার হওয়া মেয়েরা দেখতে খাটো হলেও অপ্রাপ্ত বয়স্ক নয়। ওদেরকে পাচার করেও আনা হয়নি। ওদেরকে ছাড়িয়ে আনার জন্য ওদের মা ও বাড়ীওয়ালীরা থানায় যায়। কিন্তু তারা যদি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের দিয়েই যৌন ব্যবসা করিয়ে থাকে তবে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলো না ? তিনি দাবী করেন, মহিলা আইনজীবী সমিতিকে হয়তো পল্লীর কেউ শত্রুতাবশত বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে থাকতে পারে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর এ বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে বলেন, আমরা শুধু আমাদের উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুসরণ করে মহিলা আইনজীবী সমিতিকে সহযোগিতা করেছি। অভিযানের বিষয়ে সকল বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন।

বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রজেক্ট অফিসার এ্যাড. ফেরদৌস নিগার এ বিষয়ে তিনি বলেন- আমরা আমাদের নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে পল্লীতে অভিযান চালাই এবং ৫ জনকে উদ্ধার করি।

Comments

comments