ঝড়ে যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে জন্য দোয়া চেয়েছেন-প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ ,৯ নভেম্বর, ২০১৯ | আপডেট: ৮:১৭ অপরাহ্ণ ,৯ নভেম্বর, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টা।। ঘূর্ণিঝড়ে (বুলবুল) যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে জন্য দেশবাসীকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে বলেও জানান তিনি।
৯ নভেম্বর-১৯ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শ্রমিক লীগের ১২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, দোয়া করবেন ঝড়ে যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয়। এ সময় ঝড় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া আছে। ঝড় পরবর্তী সময়ে ত্রাণসহ সব প্রস্তুতিও আমাদের রয়েছে।
এর আগে, সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন শ্রমিক লীগের ১২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সম্মেলন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক সমাজের ভাগ্যোন্নয়নে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই কাজ করেছে। ৪২টি সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমিকদের জন্য ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১০ টাকায় ৫০ লাখ মানুষকে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। গার্মেন্টস শিল্প থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে আমরা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।
এদিকে, ৯ নভেম্বর-১৯ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা বলেছেন- ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে উপকূলের দিকে ছুটে আসছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। বুলবুল উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার আগে শনিবার সকাল থেকে বাগেরহাটের মোংলা ও পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হলেও কক্সবাজারে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখা বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
সন্ধ্যায় উপকূল অতিক্রম করা শুরু করলে, ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে এটা উপকূল অতিক্রম করে যাবে। এরপর এটি দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বরিশাল, ঢাকা, কুমিল্লা অঞ্চল দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।