আজ : বুধবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে সফলতার সাথে শেষ হলো ইলিশ রক্ষা অভিযান-১৯


প্রতিবেদক
জনতার মেইল.ডটকম

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ ,৩১ অক্টোবর, ২০১৯ | আপডেট: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ ,১ নভেম্বর, ২০১৯
রাজবাড়ীতে সফলতার সাথে শেষ হলো ইলিশ রক্ষা অভিযান-১৯

স্টাফ রিপোর্টার।। রাজবাড়ী জেলার পদ্মা নদীতে সফলতার সাথে সমাপ্ত করা হয়েছে এবারের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান-২০১৯।অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।টানা ২২ দিনের এ অভিযানে রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মজিনুর রহমানের নেতৃত্বে- জেলা প্রশাসন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ফরিদপুর র‌্যাব ও আনসার ব্যাটালিয়ানের সদস্যরা ভোর রাত থেকে সকাল এবং বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন অংশে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে জেলে, জাল, ইলিশ ও নৌকা। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেলেদের বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা এবং জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংসের পাশাপাশি ইলিশ গুলো বিভিন্ন এতিমখানা ও দুঃস্থ-গরিবদের মাঝে বিতরণ করা হয়। আর নৌকাগুলো কখনো নিলামে, কখনো ভেঙ্গে ও ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানাগেছে, রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলার ৪টি পদ্মা নদীর কোল ঘেসা এবং পাংশা থেকে দৌলতদিয়া পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী রয়েছে এ জেলার অংশে।

এ বছরের অভিযান প্রসঙ্গে জেলা মৎস্য জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মজিনুর রহমান জনতার মেইলকে জানান- ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত  ২২ দিনে ২৩৮টি অভিযান ও ৭২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মোট ৩৯৪ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ২৯৭ জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ৯৭ জনের কাছ থেকে ৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। নিলামে তোলা হয়েছে ৪টি নৌকা। ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে ৩ হাজার ১শত ৩০ কেজি। যা বিতরণ করা হয়েছে।সেই সাথে ৩৮ লক্ষ ৭৬ হাজার মিটার জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। (কারদন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭১ জন, গোয়ালন্দ ৭৫ জন, কালুখালি ৩২ জন ও পাংশা উপজেলায় ১৯ জন রয়েছে)।

মৎস্য কর্মকর্তা জানান, অভিযানে তার দপ্তরসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আসনার ব্যাটালিয়ান, নৌপুলিশ ও র‌্যাব সহযোগীতা করছেন। তিনি আরো বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছরে অনেক বেশি অভিযান চালানো হয় ও বেশি জেলেদের আটক করা হয়েছে। আগামী বছরে এর চাইতেও আরো কঠোর অভিযান চালানো হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেনে।

অভিাযান প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- বিগত বছরের তুলনায় এবছরে কঠোর অভিযান হিয়েছে। রাজবাড়ীর নদীর পার ও গ্রাম গুলোতে তেমন বিক্রি হতে দেখা যায়নাই। নদীতেও মাছ ধরার নৌকা তেমন চোখে পড়েনি। অভিযানের মাঝে জ্বর-ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জেলা মৎস্য অফিসার, তার পরেও তিনি থেমে যাননি, অসুস্থ অবস্থায়ও তাকে নদীতে অভিযান চালাতে দেখেছি।

উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যান্য দেশে গত কয়েক বছরে ইলিশের উৎপাদন কমলেও বাংলাদেশে প্রতিবছরই বাড়ছে। আগামীতে আরো বাড়বে বলে আশা করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ৩০ অক্টোবর-১৯ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে দেশে মাছের উৎপাদন নিয়ে আলোচনাকালে এই আশা প্রকাশ করা হয়। (সূত্রঃ যমুনা ‘টিভি)

Comments

comments