দৌলতদিয়ায় মোটরসাইকেল আরোহীর জুতায় মিলল ১৮স্বর্ণের বার
প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ ,২৭ অক্টোবর, ২০১৯ | আপডেট: ১:৩০ পূর্বাহ্ণ ,২৮ অক্টোবর, ২০১৯
সোহাগ মিয়া-গোয়ালন্দ সংবাদদাতা।। চলন্ত দুই মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়া বিপ্লব হোসেন (৩০) নামে একজনের জুতার ভেতর থেকে বেরিয়ে পড়ে ১৮টি স্বর্ণের বার। এ দূর্ঘটনায় উভয় মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়।
২৭ অক্টোবর-১৯ রোববার সকাল সাড়ে ১০.টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া সাইন বোর্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
গুরুতর আহত, বিপ্লব হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিপ্লব স্বর্ণের বারগুলো বৈধ দাবি করে জানান, ১৮টি নয় ২০টি স্বর্ণের বার তার কাছে ছিল।অপর মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত শান্ত (৩৩) গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কুমড়াকান্দি গ্রামের জনাব আলীর ছেলে।
এ ঘটনায়, স্বর্ণের বার উদ্ধারের করতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।এরা হলেন, বিপ্লবের মোটরসাইকেলের আরোহী মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের দেওয়ান মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে দেওয়ান মোঃ ইসমাইল হোসেন (২৬), উদ্ধারে এগিয়ে আসা দৌলতদিয়ার আঞ্জু বেগম (৪০), আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), আব্দুল করিম শেখ, মোঃ বাদশা মিয়া (৪৫)।
স্থানীয় আঞ্জু বেগম জানান, দৌলতদিয়ার সাইন বোর্ড এলাকায় দুইটি দ্রুত গাতির পালসার মোটর সাইকেলের সংর্ঘষ হয়। এতে মোটর সাইকেল দুটি দুমরে মুচরে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এসময় রাস্তার উপর পড়ে থাকা চামড়ার জুতার ভেতর থেকে ১৮ পিস স্বর্ণের বার রাস্তায় ছিটকে পরেযায়, সেগুলো উদ্ধার করে পুলিশকে দিয়ে দেওয়া হয়।
বিপ্লবের মোটরসাইকেলের যাত্রী দেওয়ান ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি কুষ্টিয়াতে বিএডিসি’র চাকুরীতে যোগদানের জন্য যাচ্ছিল।বিপ্লবও একই দিকে যাচ্ছিল বলে তিনি তার মোটরসাইকেলে ওঠেন এবং গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় নেমে তিনি কুষ্টিয়ায় যাবেন।স্বর্ণের বার সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, দূর্ঘটনার শিকার মোটরসাইকেল আরোহীর জুতার ভেতর থেকে ১৮ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। স্বর্ণের বারের বিষয়ে কোন বৈধ কাগজপত্র এখনো পাননি তারা। স্বর্ণের বার বহনকারী বিপ্লব গুরুতর আহত থাকায় তার চিকিৎসা চলছে। দুইটি স্বর্ণের বার হারিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রতিটি বারের ওজন ১০০ গ্রাম করে হবে বলে তিনি ধারনা করেন।